চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ৩০টি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ছয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। রোববার (১১ এপ্রিল) করোনা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন না করায় এ জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও এলাকায় ৭টি মামলা দায়ের করে ৫ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খুলশী ও বায়েজিদ এলাকার জামান হোটেলকে ২ হাজার টাকা, নিউ মালঞ্চ রেস্টুরেন্টকে ৫০০ টাকা, ভাতঘর হোটেলকে ৫০০ টকা, নূর মোহাম্মদ হোটেলকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জালালাবাদ হোটেলকে ৩ হাজার টাকা, এরিটস ফুডসকে ২ হাজার টাকা, হোটেল প্যরাগনকে ৫ হাজার টাকা, মা কুলিং কর্নারকে ১ হাজার টাকা, সাতকানিয়া কুলিং কর্নারকে ২ হাজার টাকা, ইজি মালঞ্চকে ১ হাজার টাকা, হাজি বিরিয়ানিকে ৫০০ টাকা, মালঞ্চকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় ৩টি মামলা দায়ের করে ২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় ৭টি মামলা দায়ের করে ১৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এ সময় শেরে বাংলা রেস্তোরাঁকে ২ হাজার টাকা, হানিফ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, মাওলানা হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউসকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বাঙালিয়ানা রেস্তোরাঁকে ৫ হাজার টাকা, হোটেল হান্নান আল ফয়েজকে ৪ হাজার টাকা, হাজি বিরিয়ানি হাউসকে ১ হাজার টাকা, উজালা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকার একটি জিমকে ৫০০ টাকা, সাহেববাবু বৈঠকখানা ও সি মারমেইড রেস্তোরাঁকে ৫০০ টাকা করে, পতেঙ্গা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১ হাজার টাকা, পোড়ামাটি রেস্টুরেন্টকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে রেস্টুরেন্ট মালিকরা সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জনসমাগম করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ফলে আজকে বিশেষত রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট সকাল বিকাল দুই পালায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। যারা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেছে তাদের আমরা অর্থদণ্ড করেছি পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়েছি যাতে আইন লংঘন না করে।
তিনি বলেন, রেস্টুরেন্টে দেখা যায় মানুষ বসে অযথা আড্ডা দিচ্ছে। বিশেষ করে যুবক যুবতীদের সংখ্যা অনেক বেশি। মাস্ক না পরা ও রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার নাম করে আড্ডা দেওয়ার কারণে তাদের অর্থদণ্ড করা হয়। জনসমাগম এড়ানোর জন্যে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে বিভিন্ন শপিংমল, বিপণি বিতান ও রেস্টুরেন্টে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
এআর/টিসি