চট্টগ্রাম: নগরে নকল চেরি, জেলিযুক্ত চিংড়ি, অননুমোদিত রং, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য, কম ওজনের বাটখারা ব্যবহারসহ নানা অপরাধে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রোববার (১১ জুলাই) চকবাজার, দেওয়ান বাজার ও সাবএরিয়া এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চকবাজারের জালাল সওদাগর পোলট্রিকে আগে সতর্ক করার পরও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা, ইসমাঈল সওদাগরের মাংসের দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শাহজালাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে আইসক্রিম, দুধ, বাটারের সঙ্গে কাঁচা মাংস সংরক্ষণ করা, নকল চেরি রাখা, বিদেশি পণ্যে ভুয়া আমদানিকারকের স্টিকার দেওয়ায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য বিক্রির জন্য রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়। লিয়াকত স্টোরকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা এবং হাইড্রোজ (সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড) রাখায় ৮ হাজার টাকা ও জাহাঙ্গীর স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কোতোয়ালী থানার নবাব সিরাজদ্দৌলা সড়কের খামারিকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, বৈধ আমদানিকারকবিহীন বিদেশি পণ্য রাখা, কাপড়ের রংকে জর্দা রং বলে বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য সংরক্ষণ করায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অননুমোদিত রং ধ্বংস করা হয়।
সাবএরিয়া বাজারের হেলাল সওদাগরের মাছের দোকানকে জেলিযুক্ত চিংড়ি বিক্রির জন্য রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১৭ কেজি চিংড়ি ধ্বংস করা হয়। জাহাঙ্গীরের মাছের দোকানকে একই অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ১৩ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং কেনাকাটায় প্রতারিত হলে অধিদফতরের হটলাইনে (১৬১২১) অভিযোগের অনুরোধ করা হয়।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
এআর/টিসি