ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টিকাকাণ্ডে হুইপের অনুসারী রবিউলের বিরুদ্ধে জিডির তদন্ত শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১
টিকাকাণ্ডে হুইপের অনুসারী রবিউলের বিরুদ্ধে জিডির তদন্ত শুরু

চট্টগ্রাম: টিকা কাণ্ডে অভিযুক্ত হুইপ সামশুল হকের অনুসারী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (এমটি) রবিউলের বিরুদ্ধে করা জিডি তদন্তের নির্দেশ নিয়েছে আদালত। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বাংলানিউজকে পটিয়া থানার এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, টিকা নিয়ে অভিযোগ ওঠা রবিউলের বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

‍তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।
টিকা কাণ্ডের রবিউলের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে । এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ জিডি করেন। জিডি নম্বর-১৮৫।  

গত ৩০ ও ৩১ জুলাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে শুধুমাত্র হুইপ সামশুল হকের  সম্মতি নিয়ে টিকা কার্যক্রমের আয়োজন করে অভিযুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (এমটি) রবিউল। শুধু করোনা টিকা কার্যক্রম নয়, ইপিআইয়ের বিভিন্ন টিকা নিয়েও বাণিজ্য ছিল তার। করোনা শুরুর পর থেকে চাকরিতে যোগদানের জন্য করোনার যে নেগেটিভ প্রত্যয়ন প্রয়োজন হতো তাও টাকার বিনিময়ে সরবরাহ দিতেন হুইপ বাহিনীর ওই অভিযুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।  

এর আগে গত ৩ আগস্ট করোনার টিকা বাণিজ্যের অভিযোগে রবিউলকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বরখাস্তের পর আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) কাজল কান্তি পালকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্তি বদলির আদেশ দেওয়া হয়।  

গত ২ আগস্ট হুইপ সামশুল হকের আশীর্বাদপুষ্ট মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রবিউলের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে টিকা নিরাপত্তার ‘কোল্ড বক্স’ ছাড়াই টিকা স্থানান্তর, রেজিস্ট্রেশন কার্ড জালিয়াতিসহ সরকারি তদন্তে ধরা পড়েছে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ‘হুইপ বাহিনীর’ টিকাবাণিজ্য। অনুমতি ছাড়া ও যথাযথ নিয়ম না মেনে দেওয়া হয় ২৬শ’ টিকা। দুই দিনে দেওয়া ২৬শ’ টিকার উপস্থাপিত রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মধ্যে অন্তত ২২শ’ কার্ডই ভুয়া। অনুমতি ছাড়াই এ টিকাদান প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারীর মতোই হুইপ সামশুলের ভাই মহব্বত নিজেই টিকা পুশ করেছেন টিকাপ্রত্যাশীদের।  

এই অবৈধ টিকদান কার্যক্রম সফল করতে ঘটা করে হুইপ ও নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণকৃত স্থিরচিত্রে দেখা যায়, রশিদাবাদ আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকায় সিরিঞ্জ হাতে হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত টিকাদান করছেন। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা দায়িত্বশীল কেউ না হয়েও তিনি কীভাবে এ দায়িত্ব নিলেন- তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।  


বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১

এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।