ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরার এমডিকে হত্যাচেষ্টা, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের নিন্দা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২১
বসুন্ধরার এমডিকে হত্যাচেষ্টা, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের নিন্দা মাহবুবুল আলম, আমিরুল হক, মোহাম্মদ নাছির।

চট্টগ্রাম: দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা।

দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ওপর এ রকম হত্যা প্রচেষ্টা কখনও সমর্থনযোগ্য নয়।

চেম্বার সভাপতি হিসেবে আমি এটা সমর্থন করি না।

এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক ও সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপের এমডিকে হত্যাচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।

দেশে শিল্পায়নের সঙ্গে জড়িতদের ওপর এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।

তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির বাংলানিউজকে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে হত্যাচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, দেশের শীর্ষ শিল্পগ্রুপটি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করছে। তাই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।  

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী জুমার নামাজের সময় গুলি করে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাদ (২৩) নামে চট্টগ্রামের পটিয়ার এক যুবককে আটক করেছে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাউতুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা হাসান মাসুদ। তিনি আদালতে অভিযুক্ত সাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ জানিয়েছে, পবিত্র জুমার নামাজ চলাকালে সায়েম সোবহান আনভীরকে গুলি করে হত্যার প্রস্তুতি ছিল তার। পটিয়ার সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম ওরফে শারুন চৌধুরীর নির্দেশে হত্যার এ পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর আগে, দুধের মধ্যে বিষ মিশিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সংঘবদ্ধ চক্রটি। তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় তারা।
 

শীর্ষ ব্যবসায়ীদের হত্যার পাঁয়তারা অর্থনীতি ধ্বংসের নীলনকশা
বসুন্ধরার এমডিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।