ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিজহাতে ধান কাটলেন সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
নিজহাতে ধান কাটলেন সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী নিজহাতে ধান কাটেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: সোনালি ধানে ভরে গেছে কৃষকের জমি। সেই জমিতে নিজহাতে কাস্তে দিয়ে ধান কাটলেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

মুহূর্তেই কাস্তে হাতে এগিয়ে এলেন নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। নবান্ন উৎসব পরিণত হলো ধান কাটার উৎসবে।
হাসির ঝিলিক দেখা দিল চাষির মুখে।   

সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ঢেউয়া পাড়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। এরপর রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ধান কাটার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।  

এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের রাউজানে ধানের জমি আছে ১৩ হাজার ৫৮৮ হেক্টর, যাকে স্থানীয় ‘কানি’ হিসাব করলে দাঁড়ায় ৯১ হাজার ৪০ কানি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষিকে আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। রাউজানে কোনো জমি যাতে পতিত না থাকে, কোনো জমিতে যেন বাড়ি, ঘর, ভিটে গড়ে তোলা না হয় এসব বিষয়ে নজরদারি করি আমরা। আমি বলেছি, যে ধরনের জমিতে যে ধরনের ফসল ভালো হয় সেটি যেন চাষ করা হয়। এমনকি জমির আলেও সিমসহ বিভিন্ন ধরনের সাথি ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করছি।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চাষির মুখে হাসি ফুটলে বাংলাদেশের মুখে হাসি ফুটবে। চাষিদের গোলা ভরা ধান থাকলে, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি থাকলে তারা লাভবান হবে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে। আমি চাই রাউজানের খাদ্যশস্যের চাহিদা রাউজানের মাটিতে উৎপাদিত হোক। সরকার প্রচুর আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ, সার দিচ্ছে, ভর্তুকি দিচ্ছে, ঋণ দিচ্ছে। আমরা সেগুলো মনিটরিং করছি। পাশাপাশি নিজেরা পোকাদমনের ওষুধ, সার, বীজ দিচ্ছি। কয়েক বছর আগে যখন বন্যায় চাষিদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেল আমি নিজ উদ্যোগে ৬ টন বীজধান বিতরণ করেছি। সবচেয়ে বড় কথা, ফলদ গাছ লাগানো, কৃষি, মৎস্যচাষ ইত্যাদিতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছি। পরশু দিন বিদেশ থেকে আসার সময় বড় আকারের সরিষাবীজ দেখে পকেটে করে নিয়ে এসেছি। কৃষক বাঁচলে আমরা বাঁচব। আমাদের কৃষিকে বহুমুখীকরণের পাশাপাশি বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে চাষিদের প্রেরণা দিচ্ছি।  

সূত্র জানায়, রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে রাউজান পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে সভাপতিত্ব করেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। প্রধান অতিথি ছিলেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্যাহ আল হারুন।  

উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন, পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী ইকবাল, আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরীসহ রাউজান সুরেশ বিদ্যায়তনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।