ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চুরি করা মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
চুরি করা মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি ...

চট্টগ্রাম: চুরি করা মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে পুরাতন মোটরসাইকেল হিসেবে বিক্রিতে জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।

নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকা থেকে চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধারে নেমে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন- সন্দ্বীপ থানার ফরিসপুর এলাকার শাহাদাতের ছেলে আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ বাচা চোর (২২), সীতাকুণ্ড থানার সলিমপুর লতিফনগর এলাকার মীর হোসেনের ছেলে সাকিব (২৩) ও ডবলমুরিং থানার ধনিয়াপাড়া ছোট মসজিদ গলির সুকলাল দাশের ছেলে দোলন দাশ (২৩)।  

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বালুছড়ার আনোয়ারুল আজিম রোড হাফেজ ইদ্রিসের বাড়ির নিচতলার পার্কিংয়ে মোটরসাইকেল রেখে গেট খোলা রেখে রুমে গেলে এক ঘণ্টার মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি সকালে মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাড়ে ১০টায় অভিযান চালিয়ে সলিমপুর এলাকা থেকে আবুল কাশেম প্রকাশ বাচা চোর এবং সাকিবের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। চোরদের দেওয়া তথ্য মতে নম্বর পরিবর্তনকারী নগরের কদমতলী এলাকার দোলন মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়। একসময় বাচা চোর চৌধুরীহাট এলাকায় মোটরসাইকেল গ্যারেজে মেকানিকের কাজ করত। চৌধুরীহাট এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করলে এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়। চৌধুরী হাট এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে সীতাকুণ্ড থানার জলিল টেক্সটাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে। পুনরায় চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচায় জড়িয়ে পড়ে। বাচা চোরের বিরুদ্ধে নগরের খুলশী ও হাটহাজারী থানার দুইটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।  

তিনি জানান, গ্রেফতার সাকিব চৌধুরীহাট এলাকায় থাকাকালে অন্য একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় বালুছড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। বাচা চোর তার পূর্বপরিচিত সাকিবসহ বালুছড়া চৌধুরীহাট অক্সিজেন এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি করে সেগুলো সাকিব গ্যারেজে বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রেতা খোঁজার জন্য রেখে আসে। চোরাই মোটরসাইকেলগুলো কদমতলী এলাকার মোটর মেকানিক দোলন দাশের মাধ্যমে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে। বিআরটিএ কর্তৃক আগে রেজিস্ট্রেশন হওয়া নম্বর চুরি হওয়া মোটরসাইকলে প্রতিস্থাপন করে বিআরটিএর জাল কাগজপত্র তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে পুরাতন গাড়ি হিসেবে বিক্রি করত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।