চট্টগ্রাম: পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে নগরীতে আসা ২২ বছরের এক তরুণীকে কয়েকজন বখাটে মিলে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ মে) দিবাগত রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বোয়ালখালী থানার পশ্চিম কধুরখিল ১ নম্বর ওয়ার্ড চমদ আলীর বাড়ির সাইফুদ্দিন প্রকাশ সাইফুল মিস্ত্রির ছেলে মো.নয়ন (২৯), নগরের আকবরশাহ থানার মীর আউলিয়া এন.আর স্টিল আবুল হোসেনের বাড়ির রেললাইনের পার্শ্বে মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩) ও চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার ৮ নম্বর চিতশি ইউনিয়নের নরিমপর এলাকার আলী আকবরের বাড়ির মো. সোলাইমানের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ (২২)।
এর আগে শনিবার (৭ মে) দুপুরে নগরের আকবর শাহ থানার মীর আউলিয়া শাহ মাজার এলাকার এনআর স্টিল মিলের পেছনে একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে আকবরশাহ থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসেন। পরবর্তীতে ট্রেনযোগে কুমিল্লায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরের আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পাশে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে ছিলেন। তখন তরুণীকে এক ব্যক্তি বাড়িতে তার পিতা-মাতার সঙ্গে রাখবেন এবং কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখান। তিন জন ব্যক্তি সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে মারধর ও মুখ চেপে ধরে পৌনে ১২টার দিকে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও তরুণীর বর্ণনা মতে শনাক্তপূর্বক ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার মো. নয়ন তরুণীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কৌশলে আরিফ ও লতিফের সহায়তায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এর আগে গত বছর আরিফ ও নয়ন কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণের মামলা গ্রেফতার হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ০৮ মে, ২০২২
এমআই/এসি/টিসি