ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্মৃতির পাতায় বার্ডের দিনগুলো

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
স্মৃতির পাতায় বার্ডের দিনগুলো বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে চবির লোকপ্রশাসন বিভাগ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: প্রকৃতির চাদরে আবৃত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। সবুজ বেষ্টিত এই একাডেমিতে দেশ-বিদেশের নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ এসে প্রশিক্ষণ নেন।

আমরাও তাদের মতই আগন্তুক। ১৯৯৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে প্রতিবছরই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের এখানে দারিদ্র্য বিমোচন এবং পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সংযুক্তি কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০০৯ সাল থেকে কোর্স পরিচালক অধ্যাপক আমীর মুহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের এখানে নিয়ে আসেন। ছাত্রছাত্রীরা প্রথম বর্ষ থেকেই অপেক্ষায় থাকে তৃতীয় বর্ষের এই অ্যাকাডেমিক ট্যুরের জন্য।

গতবছর অবশ্য করোনা মহামারীর কারণে ট্যুরটি না হলেও এবার বছরের শুরু থেকেই বার্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছিল বিভাগে। অবশেষে জুনের ২৯ তারিখ বার্ডে যাওয়ার তারিখ ঠিক করা হয়। ফিরতে হবে জুলাইয়ের এক তারিখ। এক অর্থবছরে বার্ডে ঢুকে বের হবো পরের অর্থবছরে। ব্যাপারটা চমৎকার বটে।

যাই হোক, ট্যুরের জন্য টি-শার্ট, ক্যাপ, ক্রেস্ট তৈরি, টাকা সংগ্রহ, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সবকিছু চলছিলো ২৯ জুনের আগ পর্যন্ত। ২৯ তারিখ সকাল সাতটায় ক্যাম্পাস থেকে বাস ছেড়ে যাওয়ার কথা চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে। তবে ভোরে বৃষ্টির কারণে জিরো পয়েন্টে আসতে একটু দেরি হলো সবার। তিনটি বাসে কুমিল্লা যাবো আমরা। সকাল পৌনে আটটায় শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলো বাসগুলো। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সাড়ে আটটার মধ্যে শহর থেকে যারা বাসে উঠবে সবাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মার্কেটের পাশের ফাঁকা জায়গায় এসে জড়ো হয়৷ বাস সেখানে পৌঁছানোর পর সবাইকে সকালের নাস্তা দেওয়া হলো- কেক, সন্দেশ, সমুচা, আপেল এবং পানি। এখানে নাস্তা শেষ করে আমরা রওনা হলাম কুমিল্লায় বার্ডের উদ্দেশ্যে। যানজট না থাকায় আমরা ১১টার মধ্যেই পৌঁছে যাই বার্ডে। আমাদের সঙ্গে নসরুল্লাহ স্যার ছাড়াও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আরও তিনজন শিক্ষক- মুহাম্মদ ইয়াকুব, রেজাউল করিম এবং আমিনা সাবরিন।

বার্ডে পৌঁছানোর পর সবাই লাইন ধরে হোস্টেল রুমের চাবি সংগ্রহ করলাম রিসিপশন থেকে। সবাই নিজেদের নাম এবং মোবাইল নম্বর জমা দিয়েই চলে যাই যার যার রুমে। তবে এখন আর বিশ্রামের সুযোগ নেই। রুমে ব্যাগটা রেখে কোনমতে ফ্রেশ হয়ে যেতে হবে লালমাই মিলনায়তনে। সেখানে একটু পরেই শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে হোস্টেলের রুমগুলো এতটাই ভালো লেগেছিলো যে, কিছুক্ষণ ঘুমানোর লোভ সামলানো কঠিন ছিলো। কিন্তু প্রথমদিনেই যদি কোনো নির্দেশনা অমান্য করে ঝামেলায় পড়ি, সেই ভয়ে তাড়াতাড়ি জিনিসপত্র রেখেই ছুটলাম অডিটোরিয়ামে।

আমাদের প্রশিক্ষণ পরিচালক আফরিন খান এবং নসরুল্লাহ স্যার শুরু করলেন উদ্বোধনী পর্বের কাজ। ততক্ষণে আমরা হাতে পেয়ে গেছি তিনদিনের পুরো কর্মসূচির একটি শিডিউল। সবাই নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করলাম। আমাদের কিছু মৌলিক নির্দেশনা দেওয়া হলো বার্ডের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার জন্য। এখানে করিডোরে হাটার সময় ডান পাশ দিয়ে লাইন ধরে হাঁটতে হয়। সময়মতো ক্যাফেটেরিয়ায় না গেলে খাবার পাওয়া যাবে না- এটাও বলে দেওয়া হয়েছে। এরপর দুপুরের খাবারের ছুটি। লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার নিলাম। বেশ মানসম্মত খাবার বলা যায়।

দুপুরের খাবারের বিরতি শেষ হওয়ার পর আড়াইটা থেকে শুরু হলো প্রথম সেশন। এ সেশনে ক্লাস নিলেন বার্ডের পরিচালক মিলন কান্তি ভট্টাচার্য। আলোচনার বিষয় ছিলো ‘পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা পদ্ধতি: ইতিহাস ও কর্মসূচি এবং পল্লী উন্নয়নে ড. আব্দুল হামিদ খানের দর্শন’। এক ঘণ্টার এ সেশনের পর ‘শিক্ষা জীবনে শিষ্টাচার, নৈতিকতা ও সেবাধর্মীতা’ বিষয়ে আলেচনা করেন বার্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম। এরপর বিকেলে দেড় ঘণ্টার বিরতি৷ সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই রুমে গিয়ে হালকা ঘুমিয়ে নিই। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় প্রথমদিনের সর্বশেষ সেশন। ‘গ্রাম থেকে তথ্য সংগ্রহের গাইডলাইন’ নিয়ে ক্লাসটি নেন বার্ড পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। খুব সুন্দরভাবে তিনি আমাদের সবকিছু বুঝিয়ে দিলেন। প্রাণবন্ত আলোচনার মাঝেমাঝে বেশ হাসালেনও তিনি।

প্রথম দিনের ক্লাস শেষে ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য ৪টি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয় আমাদের। এরপর রাতের খাবার খেয়ে একটা অংশ পরদিনের ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করার কাজে লেগে যায়। আরেকটা অংশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য রাতেই ময়নামতি অডিটোরিয়ামে প্রস্তুতি নেয়। সারাদিনের জার্নি এবং ক্লাস শেষে রাতে রুমে এসেই ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ি। গ্রুপের কয়েকজন তখনও রাত জেগে প্রশ্নপত্র তৈরি এবং ফিল্ড ওয়ার্কের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

পরদিন সকাল সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে নাস্তা শেষ করতে বলা হয়। নাস্তা শেষে আমরা ৪টি গ্রুপের মধ্যে ছোট ছোট কয়েক ভাগে কাজ ভাগ করে নিলাম। তবে বিপত্তি বাঁধলো টানা বৃষ্টিতে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সেই সকাল থেকেই, থামার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের দুটি গ্রাম ঘুরে তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে সবাইকে যেতে হলো একটি গ্রামেই।

আমরা মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলাম রায়চোঁ গ্রামে। সেখানে রায়চোঁ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির অফিস থেকেই রিপোর্ট এবং প্রেজেন্টেশনের জন্য সংগ্রহ করতে হলো যাবতীয় তথ্য। বেলা ১২টা নাগাদ বার্ডে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় লাইন ধরলাম খাবারের জন্য৷ 

খাওয়া দাওয়া শেষে দুপুর আড়াইটা থেকে স্থানীয় সরকার বিষয়ে একটি ক্লাস নেন চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক, অতিরিক্ত সচিব ড. তোফায়েল আহমেদ। বিকাল ৪টা থেকে ‘সিভিডিপি: পল্লী উন্নয়নে জাতীয় মডেল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা ও কর্ম’ বিষয়ে ক্লাস নেন বার্ডের যুগ্ম পরিচালক সালাহ উদ্দিন ইবনে সাঈদ।

বিকেলে বার্ড সদস্যদের সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রীতি ভলিবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়। প্রথম ম্যাচ বার্ডের সদস্যরা জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে প্রশিক্ষণার্থীরা জিতে সমতায় ফেরে। ১-১ ড্র হয় খেলা। ভলিবল মাঠের পাশেই বিকালের নাস্তার আয়োজন করা হয়। খেলাধুলা এবং নাস্তা শেষে সবাই রুমের দিকে ছুটে যাই৷ কারণ তৈরি হতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য। ছেলেরা ফরমাল ড্রেস বা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা কেউ শাড়ি কেউবা নিজের খুশিমতো সাজবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরেই আবার স্পেশাল ডিনারের আয়োজন করা হয়েছিলো সেদিন।

রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মশিউর রহমান নাঈম ও তানজিনা আফরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি করে জয়িতা এবং তরিকুল। এরপর উৎস, আদিল, সৌরভ এবং আয়েশাদের কয়েকটি একক এবং দ্বৈত গানের মূর্ছনা, প্রান্ত এবং আয়মানের দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি, সিরাজের স্বরচিত কবিতা পাঠ, ইসাত ও রিয়ার যুগল নৃত্য পরিবেশনা। তবে ‘তোমরা দেখো গো আসিয়া, কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া’ গানে আতিকা, পূজা, ইসরাত ও রিয়ার দলীয় নৃত্যের তালে তালে পুরো অডিটোরিয়াম নেচে ওঠে। এরপর ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’ মঞ্চ নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করে জুবায়ের, আবু নাঈম, মাইশাসহ অন্যরা। সবশেষে ‘বন্ধু...তোরা ছিলি, তোরা আছিস, জানি তোরাই থাকবি’ দলীয় গানের মধ্যদিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর সবাই মিলে গ্রুপ ছবি তুলি। যদিও সেই গ্রুপ ছবি থেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও নিজেকে আবিষ্কার করতে পারিনি।

অনুষ্ঠান শেষে ডিনারের জন্য সবাই চলে এলাম ক্যাফেটেরিয়ায়। খাবারের টেবিল আগে থেকেই সাজানো ছিলো। গল্প-আড্ডার পাশাপাশি সেলফি তুলছিলো সবাই। খাবার শেষে নসরুল্লাহ স্যার এবং আমিনা সাবরিন ম্যামের সঙ্গে আমরা সবাই বিভিন্ন গ্রুপে ছবি তুললাম। শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের কর্মযজ্ঞ। তবে তখনো পরদিন সকালের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করা বাকী। তাই সবাই ফটোশুট শেষে ছুটে গেলো কম্পিউটার ল্যাবে। গ্রুপভিত্তিক নিজেদের স্লাইডগুলো তৈরি করে সব প্রস্তুতি শেষে রাত ১২টায় সবাই রুমে ফিরলাম।  

সেদিন অবশ্য রুমে এসেই ঘুমাইনি। আশপাশের কয়েক রুমের বন্ধুরা একসঙ্গে আড্ডা দিলাম রাত ২টা পর্যন্ত। কারণ বার্ডে এটাই শেষ রাত। পরদিন শুক্রবার (১ জুলাই) সকালে চারটি গ্রুপ প্রেজেন্টেশনে অংশ নিলো। প্রতিটি গ্রুপ থেকে তিনজন প্রেজেন্টেশন দিয়েছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে সবগুলো গ্রুপের তৈরি প্রেজেন্টেশন দেখে বিচারকরা প্রশংসাই করলেন।  

সবশেষ সমাপনী পর্বে পৌঁছে গেলো আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। প্রথমেই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বার্ড ট্যুরের অনুভূতি জানালেন তাসমিয়া মোস্তফা এবং মশিউর রহমান। এরপর যথাক্রমে বক্তব্য দিলেন প্রশিক্ষণ পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, কর্মসূচি পরিচালক আফরীন খান, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমীর মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতি বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহানের ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন সংযুক্তি কর্মসূচি’ বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রশিক্ষণ পর্ব।

আমাদের তখন যাওয়ার প্রস্তুতি। সবাইকে জিনিসপত্র গুছিয়ে জুমার নামাজের আগেই হোস্টেলের রুমগুলো ছেড়ে দিতে হলো। দুপুরের খাবার খেয়ে বাসে ওঠার আগে বার্ড ভ্রমণের টি-শার্ট পরে সবাই মিলে সর্বশেষ গ্রুপ ছবিটি তুলে নিলাম। এরপর বাসে উঠে রওনা হলাম ময়নামতি জাদুঘর এবং শালবন বিহার ঘুরে দেখার জন্য। সেখানে ঘুরাঘুরি এবং ছবি তোলা শেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাস ছাড়লো। বিকাল পাঁচটায় ‘কুমিল্লা হাইওয়ে ইন’ রেস্টুরেন্টে বাস থামলে সেখানে নামাজ এবং বিকালের নাস্তা সেরে নিলাম আমরা।  

এরপর বাসগুলো উঠে পড়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে। খুব দ্রুত ছুটতে শুরু করে চট্টগ্রামের দিকে। পথে সবাই মিলে একসঙ্গে গান গাওয়া শুরু করলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে। বাসের মধ্যে থাকা লাল নীল বাতিগুলো জ্বালিয়ে গানের তালে তালে নাচের আনন্দটা বোধহয় আশপাশের গাড়িতে থাকা মানুষও উপভোগ করছিলো।  

আমাদের বাসের অধিকাংশই নেমে পড়েছে চট্টগ্রাম শহরে। সবার শেষে আমাদের বাসটি মাত্র ৫/৬ জনকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালো ঠিক রাত ১১টা ২৩ মিনিটে। সুস্থভাবে ফিরে এলাম আমরা ১৩৭ জন। বহু কাঙ্ক্ষিত বার্ড ভ্রমণ শেষ হলো, স্মৃতির পাতায় লেখা থাকলো বার্ডে কাটানো দিনগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এমএ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।