কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় মানদৌস তাণ্ডবে ভারতের চেন্নাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে শতাধিক গাছ।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত দেড়টার কিছু পর তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরম উপকূলে আছড়ে পড়ে মানদৌস। স্থলভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। এর জেরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে চেন্নাই ও সংলগ্ন এলাকায়।
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মানদৌস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এটি দুর্বল হতে শুরু করেছে। তবে শক্তি হারালেও মানদৌস গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর আরও শক্তি হারিয়ে মানদৌস নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর কারণে এদিন সকালে ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
তবে মানদৌস আছড়ে পড়ার আগেই চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৩টি অন্তর্দেশীয় ও তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা ছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ফলে এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে এদিন মানদৌসের প্রভাবে সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে শহর কলকাতায়। গতকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলাই আছে। যদিও বৃষ্টি হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেই কনকনে শীত পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, এমনটাই জানা গেছে শহরের হাওয়া অফিস সূত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্ট, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
ভিএস/এএটি