কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের আঁচ পড়ল কলকাতায়। যদিও এই ভোট গ্রামাঞ্চলে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইএসএফ তৈরি করেন ফুরফুরা শরিফের পরিবারের সদস্য আব্বাস সিদ্দিকী। সেই আইএসএফ জোটবাদে রাজ্যের বাম দলগুলোর সঙ্গে। যদিও নির্বাচনের পর সেই জোট ভেঙে যায়।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) ছিল আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। ঘটনার সূত্রপাত, দলের পতাকা লাগানো নিয়ে। তাই নিয়ে দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার ভাঙড়ের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মমতার দল তৃণমুল কংগ্রেস এবং আব্বাসের দল ভাঙড়ের বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকির আইএসএফ। পরবর্তীতে সেই রেশ পড়ে শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র পার্কস্ট্রিট সংলগ্ন ধর্মতলায়। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকির অভিযোগ, ভাঙড়ে তৃণমূল আক্রমণ করেছে। তার প্রতিবাদে ধর্মতলা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা।
পুলিশ সেই বিক্ষোভ তুলতে বললেও তারা তোলেনি। উল্টো তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙড়ের নেতা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবিতে অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
পু্লিশের অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুড়তে থাকেন আইএসএফ সমর্থকরা। এরপরই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিক্ষেপ করা হয় কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের সেল। এতে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হলেও, পুলিশকে নিশানা করে পাথর, ইট ছোঁড়া চলতে থাকে। দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশ-আইএসএফ। ধর্মতলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জুতা, লাঠি, ইট-পাথর। ঘটনার অনেক পরও স্তব্ধ থাকে কলকাতা। জানযট সৃষ্টি হয় একাধিক অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় সশ্রস্ত পুলিশ।
শনিবার সকালে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে ভাঙড়ের তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে। উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি, ইটবৃষ্টির পাশাপাশি বোমাবাজি, গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ।
আইএসএফের দাবি, তৃণমূল রাজনৈতিকভাবে না পেরে তাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এরপরই ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে কলকাতার ধর্মতলার শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকি। আরাবুলদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। দাবি না মেটা পর্যন্ত ধর্মতলা অবরোধের ডাক দেয় আইএসএফ। সেই অবরোধ ঘিরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় কলকাতার ধর্মতলায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
ভিএস/এসএ