ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে পাঠক বাড়ছে বাংলাদেশি লেখকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
পশ্চিমবঙ্গে পাঠক বাড়ছে বাংলাদেশি লেখকদের বইমেলার গেট।

কলকাতা: আর দুই দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা এবারে ৪৬তম বর্ষে পদার্পণ করবে।

বইমেলা থিমকান্ট্রি স্পেন। ৩০ জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ মেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। খোলা থাকবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা।

তবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বাঙালি পাঠকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়, আর সে কারণেই থিমকান্ট্রি স্পেনের পর বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে এমনই জানিয়েছে বইমেলার কর্তৃপক্ষ।

বুকসেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার  চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্পেন থিমকান্টি। এছাড়া ব্রিটেন, আমেরিকা, জাপান, ফ্রান্স, ইতালি, আর্জেন্টিনা, কিউবা, থাইল্যান্ডসহ মোট ২০টি দেশ মেলায় অংশ নেবে। তবে স্পেনের পর মেলায় সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণকারী দেশ হলো বাংলাদেশ। যেটা আমার জানা।  এবারে বাংলাদেশের সরকারের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি মাধ্যমে ৪৩ সংস্থা আসছে এবং সরকারের সংস্থা একটাই থাকছে। গতবার যেমন সরকারিভাবে বই ছাড়াও খাবার এবং শাড়ির স্টল ছিল এবার তা আর থাকছে না। এই প্রথম বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করছে। যে কারণে খুশি বইমেলার কর্তৃপক্ষ।

গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে বলেন, ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ প্রকাশনা অংশ নিতো।  এবারের ৭০০ প্রকাশনা ও ২০০ লিটল ম্যাগাজিন মিলিয়ে ৯০০ প্রকাশনা অংশ নেবে।



তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রকাশনার অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও এই মেলায় স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নেবেন। ওদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা, সে কারণেই বাংলা বইয়ের পাঠক সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ সে অর্থে পশ্চিমবঙ্গে লেখকদের সবচেয় বেশি পাঠক কিন্তু বাংলাদেশের। একইভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশি লেখকদের পাঠক সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে।

সম্প্রতি কলকাতায় হয়ে গেল বাংলাদেশ বইমেলা। সেখানে বিগত বছরের তুলনায় প্রতিটা বাংলাদেশি প্রকশনা সংস্থার বিক্রি বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। এখান থেকে স্পষ্ট একটা ধারণা পাওয়া যায় যে, পশ্চিমবঙ্গে পাঠক বাড়ছে বাংলাদেশি লেখকদের।



সভাপতি আরও বলেন, সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কাগজের দাম বেড়েছে, ছাপার খরচ বেড়েছে, তা সত্ত্বেও কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকরা বইয়ের মূল্য বাড়াচ্ছেন না। এর ফলে আমরা আশাবাদী বই বিক্রি আরও বাড়বে। গতবছর বাংলাদেশ থিমকান্ট্রি ছিল।  বই বিক্রি হয়েছিল ২১ কোটি রুপি। ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ। মোট তিনবার কোনো দেশ এই শিরোপা পেয়েছে। এবারে বইমেলায় সাড়ে তিন হাজার স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে বঙ্গভবনের আদলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ান হচ্ছে।

কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার প্রথম সচিব শামসুল আরিফ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা। এছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় পালন হবে ‘বাংলাদেশ দিবস’।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী প্রতিবারের মতো এবারের বইমেলাতেও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে পশ্চিমবঙ্গের পাঠকের ঢল নামবে। আমরা লক্ষ্য করেছি পশ্চিমবঙ্গবাসী বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক, লেখকদের বই পড়তে যথেষ্ট পছন্দ করেন। আমরা আশাবাদী বাংলাদেশি প্রকাশক থেকে পশ্চিমবঙ্গের পাঠক-দুই পক্ষ এবারও কেউ নিরাশ হবেন না এবং ওইজন্য আমাদের প্যাভিলিয়নে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফলে সবমিলিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় বই উৎসব, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে সাজ সাজ রব এখন শহরজুড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।