ঢাকা: ভারতের রাজস্থান রাজ্যের গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে (গরুমন্ত্রী) দায়িত্ব পালন করছেন ওতারাম দেবাসী (৪৮)। দেশটির ইতিহাসেরও প্রথম গরুমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন বিজেপির এ রাজনীতিক।
মুখে মাঝারি আকারের দাঁড়ি-গোঁফ, গায়ে সাদা জামা, মাথায় লাল পাগড়ি, কানে দুল আর হাতে লাঠির দেবাসী স্বজনদের কাছে ‘ভোপাজি’ নামে পরিচিত। তিনি অন্য সব স্থানের মতো তার কার্যালয়েও চলাফেরা করেন রাখালের মতো, এমনকি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের কার্যালয়েও।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে রাজস্থানের পশুসম্পদের প্রতি আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বিবেচনায় বিজেপির প্রচারণায় অঙ্গীকার দেওয়া হয়, সরকার গঠন করলে তারা পৃথক গবাদি পশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করবে।
নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দুগ্ধ ও দেবস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়, সেই মন্ত্রণালয়েরও প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন দেবাসী।
ওই মন্ত্রণালয়ে বেশ দক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় এবার ‘গৌপালন বিভাগের’ দায়িত্বও পেলেন তিনি।
তার দায়িত্বে রয়েছে রাজস্থানের গো সেবা কমিশন ও গরু সংরক্ষণ অধিদফতরও।
দেবাসীর নিজেরই রয়েছে হিন্দুদের কাছে পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচিত ২০-২৫টি গরু।
দেবাসী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি রাজ্যের গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শরণাপন্ন হয়েছি এবং এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চেয়েছি। তাছাড়া, কেন্দ্রেই গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের তিন মাসে তিনি উল্লেখযোগ্য কিছু করেছেন বলে দাবি করেন দেবাসী।
তাছাড়া, গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয় হলেও অন্য পশুসম্পদের সংরক্ষণে সরকারি ঘাটতি থাকবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন দেবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫