কলকাতা: অসুস্থ অবস্থা থেকে শেষ যাত্রা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনুপ্রেরণাদায়ী গীতিকার গোবিন্দ হালদারের পাশে থাকলো কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন।
পরিবারের সদস্যের অন্তিম যাত্রার সব দায়িত্ব পালন করলেন উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ, কনসুলার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাক্কারুল ইকবালসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই জনপ্রিয় গীতিকারের স্ত্রী, কন্যা ও জামাতাসহ শোক বিহ্বল পরিবারের পাশে দাঁড়ান বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। তাদের সান্ত্বনা দেন, বাড়ান সহযোগিতার হাত।
অসুস্থ হওয়ার সময় থেকেই কলকাতা উপ হাইকমিশন বিপদে-আপদে সঙ্গে ছিলো এই গীতিকার ও তার পরিবারের। উপ হাইকমিশন মাধ্যমেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন প্রয়াত গীতিকার গোবিন্দ হালদার।
প্রধানমন্ত্রী এই গীতিকারের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার পর উপ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
তবে শুধু এই দায়িত্ব পালনই নয়, ভারত সফরকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেয় কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাই কমিশন।
প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার খোঁজখবরও উপ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হতো।
নিমতলা শশ্মানের অন্তিম শয্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রিয় এই গীতিকারকে দেখে তাই তাদের চোখের পাতা ভিজে গেলো, মিলিয়ে গেলো কূটনীতিকসুলভ আপাত কাঠিন্য। যেন মনের ভিতর থেকে শোনা গেল ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’।
শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে কলকাতার মানিকতলার জীতেন্দ্রনাথ রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনাবসান হয় বাংলাদেশপ্রেমী এই মহান গীতিকারের। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫