কলকাতা: প্রটোকল না আন্তরিকতা! রাজনৈতিক সুলভ দূরত্ব বজায় রাখা নাকি কূটনৈতিক সম্পর্ককে পারিবারিক সম্পর্কে পরিণত করা! যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বটি হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবে তার ক্ষেত্রে সব সময়ই প্রটোকল ছাপিয়ে যায় আন্তরিকতায়।
সেই কারণেই ভোটে জিতে অভিনন্দন বার্তা পাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অবলীলায় ‘হাসিনা দি’ বলে সম্বোধন করতে পারেন।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) এ রকমই এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ হাই কমিশনার জকি আহাদ।
কলকাতার নজরুল তীর্থে শুক্রবার অভিনেতা তথা শখের ফটোগ্রাফার সব্যসাচী চক্রবর্তীর এক ছবি প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপলক্ষ ওই ছবি বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা তুলে দেওয়া হবে বনরক্ষকদের উন্নয়ন তহবিলে।
এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন জকি আহাদ। মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন শুক্রবার উপ হাইকমিশনার জকি আহাদের ১৭ তম বিবাহ বার্ষিকী। তিনি তার বক্তৃতা চলাকালীন উপস্থিত জনতার সামনেই বিবাহ বার্ষিকীর বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি জকি আহাদ এবং তার সহধর্মিণীকে মঞ্চে দাঁড়িয়েই শুভেচ্ছা জানান।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যে এ ঘোষণা শুনে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে জকি আহাদ এবং তার সহধর্মিণী লামিয়া রহমান আহাদের উদ্দেশে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নজরুল তীর্থের ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন একটি দোকান থেকে নিজে পছন্দ করে একটি শাড়ি কিনে উপহার হিসেবে তুলে দেন লামিয়া রহমান আহাদের হাতে।
উপহার তুলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লামিয়া রহমান আহাদকে অনুরোধ করেন অবশ্যই যেন তিনি সেই শাড়ি পড়েন। উত্তরে উপ হাই কমিশনারের সহধর্মিণী প্রতিশ্রুতি দেন পরের বার যখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হবে তখন তিনি এ শাড়ি পরেই আসবেন। এ ঘটনার আন্তরিকতার গোটা অনুষ্ঠান এক অন্যমাত্রা পায়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫
ভি.এস/আরএ