ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৬
কলকাতায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: রোজার মাঝামাঝি থেকেই কলকাতাতেও জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের বাজারেও নিত্যদিন ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাকটি কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

 

কলকাতার বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্েগ কথা বলে এমনটাই জানা গেলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিলোত্তমা কলকাতার বিভিন্ন মার্কেটে শুধু নগরীর লোকজনই কেনাকাটা করেন না। কলকাতার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও বাসিন্দারা আসেন শপিং করতে।

বিশেষ করে কলকাতার হগ মার্কেট বা নিউ মার্কেট বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন কলকাতার আশেপাশের বিভিন্ন জেলার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
 
তাই অন্যান্য বারের মতো ‍এবারের ঈদ বাজারেও ভিড় শুরু হয়ে গেছে।

নিউ মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে নতুন ফ্যাশন বাজারে এসে গেছে। তার চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট।

ঈদে নারীদের পোশাকের কেন্দ্র বিন্দুতে চুড়িদার বা সালোয়ার কামিজ।   এ বছর এসেছে লম্বা ঝুলের ওভার কোট চুড়িদারের সঙ্গে পালেজা আর জড়ি পাড়ের ম্যাক্সি ড্রেস।

ঢোলা পাজামার মতো দেখতে পালেজা কলকাতার ফ্যাশন দুনিয়ায় বছর খানেক আগেই এসেছে। কিন্তু তার সঙ্গে লম্বা ঝুলের ওভার কোট চুড়িদার জুড়ে ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ পোশাকটির বিক্রি ছোট থেকে মধ্য বয়সীদের মধ্যে বেশি।

কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারের বিক্রেতারা জানালেন, নারীদের পোশাকে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচের চাহিদাই বেশি। তবে লম্বা চুড়িদার ফিরে এসেছে ফ্যাশনে। শাড়ির চাহিদাও কম নয়।

‘দিলওয়ালে’ সিনেমার  কাজলের  নীল শিফনের শাড়ির চাহিদাও যথেষ্ট। তবে শুধু নীল শাড়িটিই নয়, কাজলের পরা সবকটি শাড়ির চাহিদাই বয়েছে গড়িয়াহাটের দোকানগুলোতে।

কলকাতার হাতিবাগান মার্কেটে নারীদের পোশাকের মধ্যে চুড়িদারের চাহিদাই বেশি। তবে সেখানে নতুন ধরনের পোশাকের চাহিদা থাকলেও সাবেকি ঘরানার চুড়িদার কামিজ কিনতেই পছন্দ করছেন ক্রেতারা।

তবে ওড়নার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুনত্ব দেখা মিললো কলকাতার বাজারগুলোতে। ওড়নার উপরে জরি ও সুতোর কাজের সঙ্গে এসেছে পুঁতি এবং পাথর বসানো ওড়না এবং একেবারের তুলি দিয়ে নকশা কাটা ওড়না। এই ওড়নাগুলোর চাহিদাও যথেষ্ট।

ছোটদের পোশাকেও বেশ কিছু নতুন ধরনের পোশাক এসেছে। এরমধ্যে পাজামা পাঞ্জাবীর সাথে একসঙ্গেই যুক্ত করা মুজিব কোট, শেরওয়ানি সঙ্গে বাহারি ফেজ টুপি, তাতে জড়ির কাজ। সঙ্গে নাগড়াই জুতো। ছোট মেয়েদের পোশাকে আছে চুড়িদার-কামিজ, ঘাগরা আর টপ।

ছেলের পোশাকের মধ্যে  চাহিদা হয়েছে শেরওয়ানি এবং বিভিন্ন ধরনের পাজামা-পাঞ্জাবীর। তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ছেলেদের পোশাকে দারুণ চাহিদা রয়েছে জিনস এবং  টি শার্টের।   তবে নামি ব্রান্ডেড জামার চাহিদাও চোখে পরার মতো।

ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও সৌদি আরব থেকে আসে ফেজ টুপি। তবে বাংলাদেশের ফেজ টুপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এরপর আছে পাকিস্তান এবং সৌদি আরব থেকে আমদানি করা ফেজ টুপি। ভারতের দিল্লি এবং আগ্রা থেকেও কিছু ফেজ টুপি বাজারে এসেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা জানান, মেয়েদের জন্য ঈদ উপলক্ষে নানা জুতোর সম্ভার এনেছে কলকাতার নামি জুতোর দোকানগুলো। ছেলেদের জন্য সবচেয়ে বেশি চলছে ‘লোফার’।

ভিড় রয়েছে কাঁচের চুড়ি এবং প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও। সেখানে ছোট থেকে বড় সব বয়েসের মহিলাদের জমায়েত। এই দোকানগুলোতে রাজস্থানের থেকে আনা কাঁচের চুড়ির চাহিদাই বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৬
ভিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।