ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রবীন্দ্র সদনে বাংলাদেশ বইমেলা রূপ নিলো মিনি বাংলাদেশে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
রবীন্দ্র সদনে বাংলাদেশ বইমেলা রূপ নিলো মিনি বাংলাদেশে

কলকাতা: কলকাতার রবীন্দ্র সদন–নন্দন প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ বাংলাদেশ বইমেলা। ‘বইয়ের বন্ধুত্ব সীমানা ছাড়িয়ে’ এই শিরোনাম নিয়ে বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন হয় বাংলাদেশ বইমেলার।


 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ।   সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবি শঙ্খ ঘোষ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারত সরকারের পদ্মভূষণপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র সভাপতি ওসমান গণি ও সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, কলকাতা উপ-হাইকমিশনার এইচওসি মাইনুল কবির, প্রথম সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (বাণিজ্য) এবং পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সের্লাস গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।   সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের শিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। আদিবাসী নৃত্য দিয়ে মেলার সূচনা হয়।
 
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২০১১ সালে ছোট করে শুরু হলেও ষষ্ঠ বইমেলার আকার এবং পাঠকদের আগ্রহ দুইই বেড়েছে। এই মেলার উদ্দেশ্য, পাঠকদের মধ্যে বইয়ের আদান-প্রধান বাড়ানো।
 
কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের উৎকর্ষতা, তাদের বইয়ের ছাপা, মলাট, প্রচ্ছদ প্রভৃতি শিক্ষণীয় মানে উন্নতি করেছে।

তিনি দুই বাংলার অটুট মৈত্রী কামনা করেন।
 
ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের মধ্যে বাংলাদেশের বইয়ের আগ্রহ বেড়েছে।

তিনি স্মরণ করেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশকে কলকাতা বইমেলায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে কলকাতা বই মেলার থিম ছিলো বাংলাদেশ। সেই মেলায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের বই নিয়ে বাংলাদেশে একটি মেলা করার ইচ্ছে রয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সের্লাস গিল্ডের।
 
ওসমান গনি বলেন, রবীন্দ্র সদন চত্বর ছোট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তিরিশজন প্রকাশক ইতোমধ্যেই মেলায় চলে এসেছেন, বাকিরাও খুব দ্রুত এসে পড়বেন।
 
সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ বলেন, দুই বাংলার অন্তরের যোগ হাজার বছরের।

প্রতিদিন দুপুর ২টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। শনিবার এবং রোববার মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলা চলাকালীন প্রতি সন্ধ্যায় মুক্ত মঞ্চে থাকবে লেখক-পাঠক আদান-প্রদান, সেমিনারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
 
মেলায় মোট ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা তাদের বইয়ের সম্ভার নিয়ে এসেছে। প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ বইমেলা কলকাতার পাঠকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। আগামী দিনগুলিতে মেলায় আরও বেশি পাঠক সমাগম হবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬
ভিএস/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।