ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

হরতালবিরোধী ব্যাপক প্রচারণায়ও মমতার পাড়ায় বামদের মিছিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৬
হরতালবিরোধী ব্যাপক প্রচারণায়ও মমতার পাড়ায় বামদের মিছিল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ধার্য করা ন্যূনতম মজুরির বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএম) ডাকা হরতালে কলকাতায় শাসক এবং বিরোধী দলের তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। একদিকে এই হরতালকে রুখতে পথে নেমেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।

অন্যদিকে হরতালকে সফল করতে রাস্তায় নেমেছে বিরোধী সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা।
 
তবে হরতালবিরোধী নানা প্রচার-প্রচারণা সত্ত্বেও খোদ তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাড়ায় বিরাট মিছিল করেছে সিপিএমের শ্রমিক সংঘটন ‘সিটু’। হরতালের সমর্থনে এ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী এবং সিপিএম নেতা রবীন দেব।
 
এই বিরাট মিছিল মমতার পাড়া বলে পরিচিতি দক্ষিণ কলকাতার হাজরাসহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  

দীর্ঘদিন শাসন করলেও এখন রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে বামদের অবস্থা খুব ভালো যাচ্ছে না। তার মধ্যেই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় এই মিছিলকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বাম রাজনীতিকরা।
 
সিপিএম নেতা রবীন দেব বাংলানিউজকে বলেন, এই হরতাল কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল এবং সরকার এই হরতাল নস্যাতের চেষ্টা করছে, মনে হচ্ছে যেন হরতাল তাদেরই বিরুদ্ধে ডাকা হয়েছে।
 
শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল এই হরতালের বিরোধিতা করছেন তাতে শাসক দলের শ্রমিকবিরোধী মনোভাব ফুটে উঠছে।
 
শাসক দলের প্রবল চাপের মুখে পশ্চিমবঙ্গে হরতাল সফল করা বামদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এই চ্যালেঞ্জকে সফল করতে বাম নেতারা পথে নেমেছেন। তবে তারা জানাচ্ছেন, কোনোভাবেই তারা জোর করে হরতাল করার পক্ষপাতী নন।  

তারা মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন হরতালকে সফল করতে। হরতালে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে বলেও দাবি করছেন বাম নেতারা।   

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬
ভিএস/এইচএ/

** তৃণমূল কা লাড্ডু!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।