কলকাতা: ইদানিং কলকাতায় নতুন কোনো নায়ককে নিয়ে এই পরিমাণ চর্চা হয়নি।
তবে কলকাতায় দুর্গা পূজার আগে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার নায়ক যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে আড্ডা হয় বাংলানিউজের।
আড্ডা শুরুর আগে বলে রাখা দরকার ‘যশ’ কিন্তু টলিউডের নতুন নায়ক হলেও পরিচিত মুখ। চলচ্চিত্রে এসেছেন টিভি সিরিয়াল থেকে। স্টার জলসায় ‘বোঝে না সে বোঝে না’ নায়ক হিসেবে নজর কেড়েছেন তিনি।
অনেকটা সময় নিয়মিত মুম্বাইতে কাজ করেছেন। তারপর ফিরে এসে বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক। বিপরীতে নায়িকা মিমি সেনগুপ্ত।
বাংলানিউজ- প্রথম ছবির শুটিং করতে গিয়ে কি টেনশনে পড়েছিলেন?
যশ-একটুও না। শ্যুটিংয়ের শুরু থেকেই জানতাম এটা দুর্গা পূজায় মুক্তি পাবে। আর টেনশন কোথায়, আমি বিন্দাস মুডে আছি। লোকে বলছে দিন দিন গ্ল্যামার বাড়ছে।
বাংলানিউজ- ‘গ্যাংস্টার’-এর প্রধান চরিত্র গুরুর সঙ্গে আপনার কী মিল আছে?
যশ-মিল তো আছেই। গ্যাংস্টাররা আবেগ তাড়িত হয়। আমিও কিছুটা আবেগপ্রবণ। কিন্তু একজন গ্যাংস্টার যেমন রাগ করতে পারে, আবার প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেও পারে।
গ্যাংস্টারের মূল চরিত্র শুরুও অনেকটা সেরকম। আমরা একজন গ্যাংস্টারের প্রেমিক সত্ত্বাটাকেই দেখাবো।
বাংলানিউজ-এই ছবির শ্যুটিংয়ের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সমস্যার ছায়া পড়েছিল, সেই অভিজ্ঞতা কেমন?
যশ- তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থানের কথা বলছেন তো? আমরা কিন্তু ওখানে সেভাবে কিছুই বুঝতে পারিনি।
বাংলানিউজ- টেলিভিশনের পর্দা থেকে সিনেমায় এসেছেন, আবার মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসে কাজ করছেন এ বিষয়ে কি বলেন?
গোটা বিষয়টাই ঝুঁকির নয় কি? যশ -রিস্ক অবশ্যই। ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রথম আমাকে এনেছিলো ছবিতে সুযোগ দেবে বলে। আমি তো মুম্বাইতে নিয়মিত কাজ করতাম। এই প্রযোজক সংস্থা যখন যোগাযোগ করে তখনও আমি চুটিয়ে কাজ করছি।
বাংলানিউজ- কলকাতাতেও আপনার শুরুটা হয়েছিল টেলিভিশনে? যশ-একটা অন্য প্রজেক্টের জন্য অডিশন দিতে এসেছিলাম। সেটা কোনো কারণে হয়নি। এরপর ‘বোঝে না সে বোঝে না’এর ‘অরণ্য সিংহ রায়’ করার প্রস্তাব এলো। আর বাকিটা তো সকলের জানা।
বাংলানিউজ- স্টুডিও পাড়ায় শোনা যাচ্ছে আপনি নিজেই নাকি গল্প বলছেন।
প্রথম ছবিতেই এই স্বাধীনতা পেলেন কিভাবে?
যশ- আমার একটা বন্ধু-গ্রুপ আছে। একটা গল্প আমার ভাবনায় ছিল যে ‘গুডি গুডি বয়’ হবে না। টিপিকাল হিরো মার্কা না। এরকম একটা গল্প লেখে ওরা।
আমার ভালো লাগে। শ্রীকান্তদাকে (ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার) শোনাই। ওনারও পছন্দ হয়। তারপর বিরসা দাসগুপ্তকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বাংলানিউজ- আপনি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। আপনার ভক্তকুলও দুই বাংলায়। এবার ‘বোঝে না সে বোঝে না’-সিরিয়ালের অরণ্য সিংহ রায়ের ফ্যানদের কী হবে?
যশ- কি আবার হবে! তারা যেমন ছিলেন, আশা করি তেমনই থাকবেন। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ যারা দেখেছেন তারা আমাকে চেনেনই। অনেকে তো আমার বাড়ির লোক হয়ে গিয়েছেন। ফেসবুকেও আমি সবসময় প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। সবার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাই। আমার এবার লক্ষ্য তাদের ধরা, যারা আমাকে চেনেন না।
বাংলানিউজ- আপনার নায়িকা মিমি সেনগুপ্ত । মিমির থেকে কি কি টিপস পেলেন?
যশ- কে কাকে টিপস দিয়েছে সেটা মিমিই ভালো বলতে পারবে। সবাই তো বলছে মিমির সঙ্গে আমার কেমিস্ট্রিটা জমে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের জুটির বেশ পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি।
বাংলানিউজ-পূজোর সময় পরিকল্পনা কী? ঠাকুর দেখতে যাবেন? যশ-প্যান্ডেল হপিং হবে, সিনেমা হলেও যাবো। কে কেমন করল তার খোঁজ নিতে হবে তো।
বাংলানিউজ-আপনার নতুন চলচ্চিত্রের সাফল্য কামনা করি সঙ্গে দুর্গাপূজার আন্তরিক অভিনন্দন।
যশ- ধন্যবাদ, আপনকে এবং বাংলানিউজের সমস্ত পাঠককে আমার পক্ষে থেকে জানাই শারদ শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৬
ভিএস/এএটি/বিএস