আগরতলা: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। উৎসবটি এখন শুধু ধর্মীয় রীতিতেই আবদ্ধ নয়, রূপ নিয়েছে বাঙালির মিলন উৎসবে।
নতুন জামা-কাপড় পরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দেখার পাশাপাশি সাজানো গোছানো রেস্তোরাঁয় রকমারি খাবার খাওয়াও এখন রীতিতে পরিণত পড়েছে। তা হতে পারে বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
প্রতিবছর দুর্গোৎসব এলেই ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের অন্যান্য ছোট বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় জমকালো আয়োজনে সাজিয়ে তোলা হয়। অনেক রেস্তোরাঁর মেনুতে যুক্ত হয় নতুন নতুন পদ।
রাজধানী আগরতলার অন্যতম ব্যস্ত ও প্রাণ কেন্দ্র হর্কাস এলাকা হরিগঙ্গা বসাক সড়কের পাশে রয়েছে ‘এস কে এফ ফুড ওয়ার্ল্ড’। রেস্তোরাঁটির আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় কাপড়ের দোকান। এ দোকান গুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম।
পূজায় কী কী আইটেম থাকছে? বাংলানিউজের এমন প্রশ্নে রেস্তোরাঁর কর্ণধার পার্থ বিশ্বাস। জানালেন, দুর্গা উৎসবকে মাথায় রেখে দ্বিতল এ রেস্তোরাঁর পুরোটাই সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি জানান, দুর্গোৎসবে মেনুতে নতুন কোনো পদ যুক্ত করা হয়নি। তবে বিরিয়ানি, চাইনিজ, তন্দুরি, দক্ষিণ ভারতীয় খাবার, স্ন্যাক্সসহ নানা রকম কোমল পানীয় থাকছে। উৎসবের দিনগুলোতে শুধু এ রেস্তোরাঁতেই নয়। উপচে পড়া ভিড় হয় আশ-পাশের রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য হোটেলগুলোতেও।
পার্থ বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিই প্রথম গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। তাই কাস্টমারদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রেস্তোরাঁয় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ’
পূজার সপ্তমী থেকে নবমী; এ তিনদিন সারা রাত খোলা থাকবে রেস্তোরাঁ। এ সময় আগরতলা ছাড়াও রাজধানীর উত্তরের চন্দ্রপুর, অরুন্ধতীনগর এলাকার রেস্তোরাঁগুলোতেও। উৎসব উপলক্ষে অলি-গলিতে রেস্তোরাঁ তো আছেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৬
এসসিএন/