ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

৭১’র ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত হলো কলকাতার বিজয় উৎসবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
৭১’র ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত হলো কলকাতার বিজয় উৎসবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাইফেল হাতে দুই মুক্তিযোদ্ধার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে এক যুবক তার সঙ্গীকে বললেন ‘এই ছবি দেখেই অনুভব করা যায় কেনো সেদিন পাজামা আর গেঞ্জি পরে ভারী মিলিটারি বুটের মুখোমুখি হতে ভয় পায়নি সেদিনের বাঙালিরা’।

কলকাতা: রাইফেল হাতে দুই মুক্তিযোদ্ধার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে এক যুবক তার সঙ্গীকে বললেন ‘এই ছবি দেখেই অনুভব করা যায় কেনো সেদিন পাজামা আর গেঞ্জি পরে ভারী মিলিটারি বুটের মুখোমুখি হতে ভয় পায়নি সেদিনের বাঙালিরা’।

গায়ে একটি স্যান্ডো গেঞ্জি হাতে রাইফেল মাথা উঁচু করে দৃষ্টি নিবদ্ধ লক্ষ্যের দিকে।

দুই তরুণের সেই ছবির সামনে দাঁড়ালেই অনুভব করা যায় আসলে অস্ত্রের কাছে নয় পাকিস্তানি সেনা পরাজিত হয়েছিল একটি চেতনার কাছে। যে চেতনা মুক্তির জন্য যুদ্ধ করতে শেখায়, যে চেতনা ভাষার জন্য রক্ত দিতে শেখায়।
 
কলকাতায় পাঁচ দিনের বিজয় উৎসবের শেষ দিনে সেই চেতনার অনুরণন বারবার শোনা গেল ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শিরনামে চিত্র প্রদর্শনীর দর্শকদের মধ্যে। যেখানে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রূপে। কখনও একজন নেতা, কখনও একজন পিতা আবার কখনও একজন দক্ষ দেশ নায়ক হিসেবে।
 
প্রদর্শনী ছবিতে হাত দেওয়ায় কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু দর্শকদের আকুতি আটকাতে পারেননি নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারণ দর্শকরা বঙ্গবন্ধুকে ছুঁয়ে দেখেছেন তাদের চেতনার মধ্যে দিয়ে। তারা দুর্লভ ছবিগুলিকে ধরে রেখেছেন তাদের মোবাইল ক্যামেরায়। হয়ত অন্য কোনদিন অন্য কোন সময়ের বুকে দাঁড়িয়ে আবার তারা দেখবেন ছবিগুলিকে। আর তার মধ্যে দিয়েই ফিরে যাবেন ইতিহাসের সেই বিরল ঘটনায় যেখানে ভাষার জন্য, মুক্তির জন্য ভারী মিলিটারি বুটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে খালি গায়ে, খালি পায়ের সাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর , ২০১৬
ভিএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।