ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তিস্তার জট খুলতে হাসিনা ম্যাজিকেই ভরসা দিল্লির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
তিস্তার জট খুলতে হাসিনা ম্যাজিকেই ভরসা দিল্লির

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের সমস্ত সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলির মুখ্য খবরে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর। শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনায় তিস্তার বরফ গলবে বলেই আশা করছে দিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকছেন।

তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সরাসরি বলা হয়নি যে তিস্তা চুক্তি নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।  সরাসরি বলা না হলেও দুই দেশের কূটনৈতিক মহলের মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি।

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ঢাকা সফরের সময় বলে দিয়েছিলেন যে, ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বর্তমান। এখানে একতরফা কিছু করা সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গের মত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত পাওয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ফ্যাক্টর অনেকটা কাজ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক সম্পর্ক। শেখ হাসিনাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বড় দিদির মতো দেখেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও মমতাকে ছোট বোনের মতই ভালবাসেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়িয়ে দুই নেত্রীর সম্পর্ক ব্যক্তিগত পর্যায় খুবই আন্তরিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হবার পর শুধু শুভেচ্ছা বার্তা নয় ইলিশের মরশুমে  হাসিনার তরফ থেকে উপহার হিসেবে পদ্মার ইলিশ পৌঁছে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে।

ভারত জানে জঙ্গি কার্যকলাপ দমনে শেখ হাসিনা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ তিনি বরদাস্ত করবেন না। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও শেখ হাসিনার দাবি মেনে তিস্তা চুক্তি করা প্রয়োজনীয় সেটা খুব ভালো ভাবে জানে ভারত। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার আন্তরিক সম্পর্ক ইতিবাচক ফল আনবে বলে আশা করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।

শনিবার ( ৮ এপ্রিল) হায়দ্রাবাদ হাউস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা হবে। প্রথমটি খুলনা থেকে কলকাতা বাস পরিষেবা, দ্বিতীয় খুলনা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং তৃতীয় পার্বতীপুর থেকে বিরল পর্যন্ত হাই স্পিড মালগাড়ি চলাচল।

এই ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। মোট কুড়িটি চুক্তি হবে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। এছাড়াও একগুচ্ছ এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।  বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর কাজ করবে এই চুক্তিগুলো।

তবে সবথেকে বেশি নজর থাকবে তিস্তা চুক্তির জট কাটলো কি না সেই দিকে। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে রাজি করাতে শেখ হাসিনা বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা,৭ এপ্রিল, ২০১৭
ভি.এস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।