ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১০০ কোটি মানুষের হাতে আছে মোবাইলফোন। এর ২০ শতাংশ প্রতি বছর বাতিল হয়ে যায়।
তবে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাতিল হয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক বর্জ্য পদার্থ কেনেন প্রধানত ভারত, চীন, ঘানা ও নাইজেরিয়ার ব্যবসায়ীরা। বৈদ্যুতিক পদার্থ তৈরিতে ব্যবহৃত ধাতু নিষ্কাশন করার জন্যই ওই সামগ্রী নিয়ে আসা হয় ভারতে।
ধাতু বের করে ফেলা হলেও থেকে যায় পলিমার ও প্লাস্টিক। এই বস্তুগুলো কী করা হয় তার কোনো সঠিক হিসেব পাওয়া যায় না।
পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহারের পর সেগুলো বাতিল হয়ে গেলে সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। যদি এমন ব্যবস্থা করা হয় যে বিক্রেতারাই ফের সেগুলো নিয়ে নিলেন, তা হলে যেখানে সেখানে ওই সামগ্রী ফেলা হবে না। যদিও কিছু প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির শুরু করেছে।
বাতিল বৈদ্যুতিক সামগ্রী নির্দিষ্ট জায়গায় জমা না হওয়াটাই পরিবেশের বিপুল ক্ষতির কারণ। যদি প্রশিক্ষিতদের দিয়ে এই জাতীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা হয় এবং কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করা হয়। তবে সমস্যা অনেকটাই কাটবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।
বিভিন্ন দেশে উচ্চ তাপমাত্রায় বৈদ্যুতিক বর্জ্য গলিয়ে ফেলা হয়। অনেকে সেই পদ্ধতি ভারতে ব্যবহারের কথা বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের দু’টি বৈদ্যুতিক বর্জ্য নষ্ট করে ফেলবার প্ল্যান্ট আছে। কিন্তু আরও এই ধরনের প্ল্যান্ট দরকার বলেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এসএস/জিপি/এমজেএফ