যতদূর জানা যায় ‘আম’ শব্দটি মৈথলি ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃতে ‘আম’ শব্দের মানে ‘খাস’ বা ‘বিশেষ’।
কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বাজারে আম এসে গেছে বেশ কিছুদিন। কাঁচা আমের ডাল, আম পোড়া শরবৎ আর চাটনির পর পাকা আমের প্রেমে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি প্রায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছে।
এই প্রেমের এমন প্রভাব যে আম কেনার হিড়িকে কমে যাচ্ছে অন্যান্য ফল কেনা। শুধু ফলই নয়, বাজার ঘুরে দেখা গেল, সবজি এমনকি মাছের জন্য বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে আম কিছু ফেলছেন অনেকেই। অনেকক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় সেটা অনেকটাই বেশি।
পশ্চিমবঙ্গে আমের ব্যাপক ফলন হওয়ায় কলকাতার খুচরো এবং পাইকারি বাজারগুলোতে আমের ছড়াছড়ি।
কলকাতার সবথেকে বড় পাইকারি বাজার কোলে মার্কেট-এ খবর নিয়ে জানা গেল পাইকারি দরে ৮ রুপি প্রতি কিলো থেকে শুরু করে ১৮ রুপি প্রতি কিলো দামে আম বিক্রি হচ্ছে।
খুচরো বাজারে সেই আম বিক্রি হচ্ছে ২০ রুপি থেকে শুরু করে ৩০ রুপি কিলো দরে। কলকাতার বাজারে আমের খুচরো দাম ২০ রুপি হলেও আম চাষের জন্য বিখ্যাত মালদা জেলায় আমের খুচরো দর ১০ রুপি-তে নেমে এসেছে বলে জানা গেছে।
কলকাতার বিভিন্ন মধ্যবিত্ত এলাকার বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শুধু ফল হিসেবেই নয় অনেকেই রাতে রুটির সঙ্গে তরকারি বা মাছ বাদ দিয়ে আম খাচ্ছেন।
আমের প্রেমের সঙ্গে কলকাতার বাজারে আক্ষেপও শোনা গেল। বাংলাদেশের আম যদি পাওয়া যেতো। চাঁপাইগঞ্জের আমের কথা শোনেনি এমন কলকাতাবাসী মেলা ভার। তারা সকলেই জানেন, বাংলাদেশের আমই স্বাদের দিক থেকে সেরা। যদিও সারা বছর ধরে কলকাতায় বিভিন্ন দেশের আম পাওয়া যায়। তবুও মরসুমের ফলের স্বাদ ভিন্ন সময়ের স্বাদের থেকে আলাদাই থাকে বলে মত ক্রেতাদের।
শুধু একটি নয়, আম বেশি কেনার জন্য বাজারগুলিতে ঘুরে একাধিক যুক্তি কানে এলো। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, গরমে অনেকেই নিরামিষ খাওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন।
তারা জানালেন, জামাই ষষ্ঠীর পর বর্তমানে মাছের চাহিদা অনেকটাই কম।
ক্রেতারা অনেকেই জানালেন, গরমের জন্য আলু ভাজা, ডাল এ ধরনের হালকা খাবার তারা খেতে পছন্দ করছেন। তার সঙ্গে অবশ্যই আছে ল্যাংড়া, হিম সাগর কিংবা ফজলি আমের থালা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
ভিএস/জেডএম