ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে ২য় দফার ভোটে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল কমিশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
পশ্চিমবঙ্গে ২য় দফার ভোটে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল কমিশন ফাইল ছবি

কলকাতা: প্রথমদফার ভোট শেষ হতেই আরও পারদ চড়লো রাজ্য রাজ্যনীতিতে। যদিও কোনো পক্ষই বুথ দখল বা জাল ভোটের দাবি করেনি।

তবুও কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শনিবার (২৭ মার্চ) নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছিল প্রথম পর্যায়ের ভোট।

কিন্তু সেটুকুও যাতে না হয়, তারজন্য সোমবার (২৯ মার্চ) দরকার হলে দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এদিন বিকেলে স্পষ্টতই কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করলেই গুলি চালানোর। যদিও নির্বাচনবিধি অনুযায়ী কোনো সমস্যা হলে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে পারে বাহিনী। তবে পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে এর কোনো নজির প্রায় নেই বললেই চলে।

তবে নির্বাচন কমিশনের এই নজিরবিহীন নির্দেশে দ্বিতীর দফার ভোটে ভোটাররা আরও আতঙ্কিত বোধ করবেন না তো? সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কেন এই নির্দেশ? গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর বিধানসভায় ভোটের আগের রাতে প্রবল বোমাবাজি হয়। অভিযোগ, টহল দেওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে সন্ত্রাসবাদীরা। যে ঘটনায় বিজেপি-তৃণমূল একে অপরকে দোষারোপ করেছে। বোমাবাজিতে গুরুতর জখম হন পটাশপুর থানার ওসি ও কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার দ্বিতীয় দফার আগে কড়া নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের চার জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা মিলিয়ে মোট ৩০ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ ২৪পরগনা বাদে বাকি তিন জেলায় প্রথম দফায় এক অংশের ভোট হয়ে গেছে।

তবে ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রাজ্যসহ গোটা ভারতের নজর থাকবে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। কারণ এটি হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী লড়াইয়ে অন্যতম পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে।

এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অপরদিকে তারই একসময়ের অনুগামী শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে এই দুই হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেটের গলার কাঁটা হয়েছেন বাম-কংগ্রেস-আব্বাস জোট অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চার ২৭ বছর বয়সী সিপিএমের স্টার ক্যাম্পেনার মীনাক্ষী মুখার্জী। ফলে এই কেন্দ্রে অশান্তি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ জয় কোনো পক্ষর কাছেই সহজে মিলবে না, এমটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেজ্ঞরা। ফলে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের বাড়তি নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।