কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে রোববার (১৬ মে) থেকে শুরু হলো ১৫ দিনের লকডাউন। কয়েকটি জরুরি বিষয় ছাড়া বন্ধ সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, স্কুল, আদালত, পরিবহণসহ একাধিক বিভাগ।
শ্যুটিং বন্ধ থাকায় সিনেমা, ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কলাকুশলীদের রোজগার অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রযোজকদের সংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে কলাকুশলীদের রোজগারের কথা মাথায় রেখে শ্যুটিং চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেন ছাড় দেন। সেই মর্মে সোমবার (১৭ মে) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত আবেদনও করা হবে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। যাতে তাদের যানবাহন চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়।
স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুটিঙের কাজে মেকআপ ম্যান, হেয়ার ড্রেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া একাধিক মেগা ধারাবাহিকের প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে করোনা ধরা পড়ায় ধারাবাহিকগুলো কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। ধারাবাহিক চালিয়ে নিয়ে যেতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গল্পের পরিবর্তন করতে হচ্ছে। কিন্তু এত সবের পরেও পুরোপুরি শুটিং বন্ধ হলে জুনিয়ার আর্টিস্টরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন। টান পড়বে তাদের জীবিকায়। তাদের কথা ভেবে একটা নীল নকশা করে দেওয়া যাতে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায় অন্য কোনো উপায়ে।
তবে তাতেও যদি কোনো সমাধান না মেলে তাই শনিবার অনেক রাত অব্দী টলিপাড়ার বিভিন্ন স্টুডিওতে ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলেছিল। শেষ মুহূর্তে সকলেই ধারাবাহিকের ব্যাঙ্কিং বাড়াতে যথাসাধ্য পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু সূত্রের খবর, যতটা শুটিং করা গেছে তা বিভিন্ন চ্যানেলের কাছে আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মতো এপিসোড ব্যাঙ্কিং করা রয়েছে। তা দিয়ে টানা পনেরো দিন চালানো সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে আবার কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে টলিপাড়া। ফলে গত বছরের মতোই পুরনো এপিসোডের পুনঃপ্রচার ভরসা রাখতে হবে চ্যানেলগুলোকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
ভিএস/কেএআর