ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বন্ধ হচ্ছে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বন্ধ হচ্ছে না

কলকাতা: করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভাইরাসের নতুন এই প্রজাতিকে আরও বেশি ঝুঁকিবহুল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুধু তাই নয়, বিশ্বের সব দেশকেই করোনার নতুন এই প্রজাতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে বলে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে হু। যদিও এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের কারণে কোনো মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। পাশাপাশি ওমিক্রনের মোকাবিলায় করোনার টিকা কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে, তা জানতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেও মনে করছেন হু’র বিজ্ঞানীরা। ফলে গোটা বিশ্বের উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলো আগাম সতর্কতা নিতে শুরু করে দিয়েছে।

ভারতও ওমিক্রন নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ। আগে ভাগেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। কেন্দ্রীয় সরকার রোববার (২৮ নভেম্বর) রাত থেকেই দেশটির প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগের ১৪ দিনের ট্রাভেল হিস্ট্রি জমা করতে হবে। অর্থাৎ ভারতে আসার আগের ১৪ দিন কোথায় কোথায় গিয়েছেন, তা জানাতে হবে। সঙ্গে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টও বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে ভারত। তালিকায় বাংলাদেশ-সহ যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, চীনসহ ইউরোপের দেশগুলোয় আছে। তবে এ নির্দেশিকা এখনই বহাল করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার আরও একবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতের করোনা বিশেজ্ঞদের। তবে সরকারি নতুন গাইডলাইন অনুসারে, যেসব দেশে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে সে সব দেশের শুধু কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টেই হবে না। তাদের বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামুলক। পাশাপাশি সাত দিনের কোয়ারেন্টিনও বাধ্যতামূলক। বুধবার (০১ ডিসেম্বর) থেকে ভারতে চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম।

তবে বাংলাদেশে একজনও ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি। তাহলে সেই দেশকে কেনো তালিকায় রাখা হয়েছে? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এ প্রশ্ন রেখেছিল করোনা গবেষকদের কাছে। উত্তরে তারা জানিয়েছেন, কখনই বলা হয়নি সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে বাংলাদেশে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে করোনা নির্মুল হয়নি। ওমিক্রনে অগণিত স্পাইক মিউটেশন রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি মহামারিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন এই প্রজাতি গোটা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত ঝুঁকির। অতিমারি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানানো হয়েছে কোভিড-১৯ নিয়ে ভারত যে লাল তালিকা করেছে, সেখান থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট তালিকার দেশগুলোর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ বন্ধ হবে না। ঘোষণা অনুয়ায়ী, পূর্ব নিয়মেই চলবে। তবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বাড়লেও তালিকায় থাকা দেশগুলো এয়ার বাবলের মাধ্যমেই চলাচল ব্যবস্থা সচল থাকবে। পাশাপাশি এখনই চালু হবে না বাস এবং রেল পরিষেবা। ফলে বাংলাদেশিরা বর্তমানে যেভাবে ভারত আসছেন সেই নিয়মই জারি থাকবে। হু এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে, ভারত। কারণ বিশ্ব সংস্থা সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিটি দেশের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ যে ঝুঁকিবহুল তাও বোঝাতে হবে। যে দেশগুলিতে টিকাকরণ কম হয়েছে, সেখানে এর প্রভাব যথেষ্ট হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
ভিএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।