কলকাতা: কয়েক দশক ধরে বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতি আদান-প্রদানের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত কলকাতার কফি হাউসের শরীরে বয়সের ছাপ পড়েছে।
চাকচিক্য খসে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে মলিন চেহারা।
বিবর্ণ সময়ে কর্মীদের আবদার যে করেই হোক, কফি হাউসের আড্ডাটা টিকে থাক। এবার তাদের পাশে এসে দাঁড়ালো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কফি হাউস কর্তৃপক্ষকে সম্প্রতি ১০ লাখ রুপি দিয়েছে তারা। যাতে কর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে পারে কফি হাউস কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এভাবে পাশে এসে দাঁড়ানোয় উচ্ছ্বসিত মান্না দে‘র স্মৃতি বিজড়িত ইন্ডিয়ান কফি হাউসের কর্তৃপক্ষসহ কর্মচারীরা। এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তারা।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, কফি হাউসের ঐতিহ্য গোটা বিশ্বে সমাদৃত। তাদের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কফি হাউসের গুরুত্ব অনেক। তাই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। আবারও যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়, রাজ্য সরকার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান কফি ওয়ার্কার্সের সম্পাদক তপন পাহাড়ি বলেন, করোনার সময় দীর্ঘদিন কফি হাউস বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কফি হাউস খুললেও তেমন ভিড় হচ্ছিল না। ফলে আর্থিক সংকট কাটছিল না। এ অবস্থায় দিদির সাহায্য আমাদের ‘অক্সিজেন’ দিয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা শহরে শতাধিক চকচকে কফি শপ এবং রেস্তোরাঁ আছে। তরুণ প্রজন্ম সেখানে বসেই কফিতে চুমুক দিতে পছন্দ করে। কফি হাউসের নস্টালজিয়া আদৌ তাদের কতটা টানে, তা নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। তাদের সঙ্গে কিভাবে পাল্লা দেবে কফি হাউস? কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কফি হাউস টিকিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ!
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
ভিএস/এনএসআর