আগরতলা, (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এই প্রকল্পের নাম ‘মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক প্রকল্প’।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাজ্যের চা শ্রমিকদের একাংশকে ডেকে এনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
আগরতলার শিশু বিহার এলাকার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে চা শ্রমিকরা এসে ছিলেন। চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হয় এদিন।
বেশ কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত জেনে নেন।
পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের সব মিলিয়ে ৫৫টি চা বাগান রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই ব্যক্তি মালিকানাধীন। কিন্তু শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থার দীর্ঘ বছর করুণ ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর অংশ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন চা শ্রমিকদের জন্য তিন কাঠা জমির বন্দোবস্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। স্বল্পমূল্যে রেশনের জন্য অন্তর্দয় কার্ডের ব্যবস্থা, তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য সুযোগ করে দেওয়া, রাস্তাঘাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য বিমা করে দেওয়া হবে, অন্য কোন ব্যবসায় আসতে চাইলে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, বিভিন্ন সামাজিক ভাতা প্রকল্পেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান রাজ্যের বর্তমান সরকারের কাছে নথিবদ্ধ সাড়ে সাত হাজার পরিবার চা শ্রমিক রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবাই উপকৃত হবে। রাজ্যে এমন কিছু বাগান রয়েছে যেগুলোর মালিক দীর্ঘ বছর ধরে কোন খোঁজখবর নিচ্ছেন না।
এই বাগানগুলোকে যাতে চালু করা যায় তার জন্য একটি পরিচালন কমিটি তৈরি করা হবে, এগুলো পরিচালনা করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণের ববস্থা করে দেওয়া হবে। এর ফলে একটা বড় অংশই চা-শ্রমিক উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী এপ্রিল মাস থেকে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে ১৭৪ টাকা করে পাবে বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসসিএন/এএটি