কলকাতা: বছর শেষ হলেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত (গ্রামস্তরের ভোট) নির্বাচন। সেই ভোটে, ভোটার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গে নাম থাকবে ‘নতুন লোক’দেরও (অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যারা গেছেন), সে বিষয়ে বুঝে তালিকা করুন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বর্ধমান জেলায় দলীয় কর্মীদের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের নির্দেশ, যারা আমাদের পক্ষে বা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত, সেইসব ‘নতুন লোকে’র নাম ভোটার তালিকায় তোলার চেষ্টা করবেন।
তার দাবি, ‘নতুন লোক’ মানে বুঝতেই পারছেন? যারা বাংলাদেশ থেকে আসছে। তাদের নাম না বুঝে তালিকায় তুললে ক্ষতি। কারণ, তারা তো হিন্দু হিন্দু করে বেশিরভার ভোট বিজেপিকে দিয়ে দেয়।
এ ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ফলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতগুলোর মেয়াদ একবারে শেষের পথে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলেই ভোট হবে রাজ্যের জেলাগুলোর গ্রামস্তরে। ২২ জেলায় পঞ্চায়েতে আসন পুনর্বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৫ জানুয়ারি। সেই তালিকায় পঞ্চায়েত ভোট হবে।
বর্ধমান শহরের টাউন হলে দক্ষিণ বর্ধমান বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ভোটার লিস্টের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল এজেন্টদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণে বিধায়ক খোকন দাস। তিনি বলেন, তাদেরই নাম তুলবেন, যারা আমাদের পরিবার, যারা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের পরিবারের লোকেজনদের নাম তুলবেন। আর যারা নতুন ভোটার, তাদেরও নাম তুলুন। যারা কোনো কারণে বাদ পড়েছেন, তাদের নাম তুলুন। বাড়তি লোকের থাকার দরকার নেই। নতুন লোকদের নাম বুঝে তালিকায় তুলবেন।
এ বিষয়ে বর্ধমান জেলার বিজেপির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন করে কি আর বলবো। এতে প্রমাণ হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করে, বিজেপি নয়। বাংলাদেশ থেকে লোক আসা নিয়ে বিধায়কের কাছে যদি তথ্য থাকে, তাহলে ভোটব্যাংকের রাজনীতি না করে সেই তথ্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে জানানো উচিত। এ কারণেই আমরা নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) করার কথা বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
ভিএস/এসআই