ঢাকা: রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি’র এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান আগামী মার্চ মাসে শুরু হবে৷ সে সময় যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য এলসিসহ অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। শিগগিরই আমরা বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসব। কোন অবস্থাতে রমজান মাসে সাধারণ ভোক্তাদের যাতে বিপদ আপদ বা সমস্যায় না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক নজর রয়েছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এলসি খোলায় সংকট চলছে। এরমধ্যে সামনে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে কি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রশ্ন করা হয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে।
জবাবে তিনি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে আজকে রাতারাতি সব কিছু বদলে দেওয়া যাবে না। আজকের অবস্থা, বৈশ্বিক সব কিছু ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কি আছে সব কিছু আপনারা জানেন। আমরা অন্তত যে দাম আসছে সেটাকে কনসিডারেশনে নিয়ে বা লোকসান করে কেউ বিক্রি করবে না। তবে আমাদের যেটা দরকার হলো রিজনেবল দামে যেন যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য রমজান মাসে আসে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বিষয় সার্বিক বিবেচনায় নিয়েছেন। তাদের যে প্রতিনিধি আসছেন তাদেরকে বলা হয়েছে তারা কাল পরশুর মধ্যে তারা একটা পরিষ্কার নির্দেশনা দেবেন। রমজান মাসে দাম কমে যাবে সেটা বলছি না, অন্তত আজকের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যে দাম হওয়া উচিত সেটা মাথায় রেখে পণ্যের সরবরাহ বা পণ্য পাওয়া যায়।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে যদি কোন আগাম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রতি তিন মাসে আমরা এই কমিটির একটি সভা করব। আজকের আলোচনায় অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা বলেছেন তাদের এলসি ওপেন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রিলেটেড সেগুলো সব কিছু বাণিজ্য সচিব নোট করেছেন। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমাদের কর্মকর্তাদের পাঠাব৷ কোথায় কি অ্যাকশন নিয়ে কাজ হবে প্রয়োজনে তাদেরকে চিঠি দেব।
.বাংলাদেশ সময় : ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
জিসিজি/এসএএইচ