আবারও শুভেচ্ছা দূত হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এবার তার কাঁধে এই দায়িত্ব তুলে দিল দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সানফ্লাওয়ার রেস্টুরেন্টে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হন এই অভিনেতা। এসময় চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এই চুক্তিপত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সই করেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরী জানান, আগামী এক বছরের জন্য তিনি বসুন্ধরা টিস্যুর বেশ কিছু কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন। অস্বাস্থ্যকর চর্চাসহ যে কোনোরকম অশুদ্ধ চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে ছাড় না দেওয়ার অব্যাহত অভিযানে ব্র্যান্ডটির বেশ কিছু কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ থাকবে তার।
অভিনেতা বলেন, বসুন্ধরা টিস্যুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিকল্পনা আমার ভালো লেগেছে। এ জন্য তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। আর আমি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার আগে সেই পণ্য নিজে ব্যবহার করি। কারণ আগে পণ্যের মান নিজে যাচাই করি। আমার বাসায় এখনও গেলে যেটি পাওয়া যাবে সেটি বসুন্ধরা টিস্যু। তাদের পণ্যও ভালো। এই প্রোডাক্টির প্রতি আমার আস্থা আছে ভালোবাসা আছে। সব মিলিয়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা টিস্যু ব্র্যান্ডের সঙ্গে সবার ভালোবাসার অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরীর যোগদানে আমরা বেশ আশাবাদী। এতে আমাদের ক্রেতাসাধারণসহ দেশের আপামর মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমাদেরকে আরো সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা টিস্যু দীর্ঘ সময় ধরে নানান রকম অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি বড় আর বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়নে কাজ করা। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই অটিজম সম্পর্কে না জেনে তাদের বিরূপ ধারণা থেকে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্ন কিংবা স্বাভাবিক আচরণ করতে ব্যর্থ হন। তাই তাদের জীবনকে একটু সহজ করতে এমন শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসার পাশাপাশি, এখন আমরা কাজ করছি সাধারণ সব নাগরিককে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো আলোকিত ও সচেতন করতে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসুন্ধরা টিস্যুর প্রতি প্যাক বিক্রির টাকা থেকে ১ টাকা যোগ হয় বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের কাজে, অটিস্টিক শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে। চঞ্চল চৌধুরীর মতো একজন বহুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই আরও নতুন ও কার্যকর মাত্রা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের ব্যাপারে জানার পর বিষয়টি নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপকে এরকম একটি পদক্ষেপ নেওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এটি মহৎ একটি উদ্যোগ। বসুন্ধরা টিস্যুর প্রত্যেকটি প্যাকেট থেকে একটি করে টাকা যে মহৎ কাজে ব্যয় করা হয় সেটা জেনে নিজেকে আরও সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মাধ্যমে যদি ১০ জন মানুষও সচেতন হন সেই কাজটি মনে করব আমার সার্থক হয়েছে। আমরা এই জায়গা থেকে ঘোষণা দিতে পারি, সামনে অটিস্টিক শিশুদের জন্য কাজ করব। এছাড়া তাদের যেন স্বাভাবিক চোখে দেখা হয় সেই সচেতনতা বাড়াতে কাজ করব। মানুষের জয় হোক, বসুন্ধরার জয় হোক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ মেজর মোহসিনুল করিম (অব.), বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, হেড অব ডিভিশন মার্কেটিং এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মো. তৌফিক হাসান, জেনারেল ম্যানেজার, সেলস, টিস্যু ও হাইজিন কাজী ইমদাদুল হক, মার্কেটিং ম্যানেজার ইমরানুল কবিরসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বসুন্ধরা টিস্যুর কমিউনিকেশন এজেন্সি এমপাওয়ারের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
এনএটি