ঢাকা: ফেব্রুয়ারিতে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মুদ্রাস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, খাদ্যখাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূতখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। উৎপাদন খরচ বাড়ায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যেই বাজার আছে, সেখানে চাহিদা বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ তাড়িত মূল্যস্ফীতির কারণেই ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা বেড়েছে। এখন উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। আগে যেই ফিড কেনা হতো ২৮ টাকায়, এখন সেটা কেনা হচ্ছে ৭০ টাকায়। কৃষিখাতের জিনিসপত্রের দাম সেভাবে না বাড়লেও পোল্ট্রি ও মাছের ফিডের দাম বেড়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে।
এসব জিনিসের দাম একবার বেড়ে গেলে কমতে সময় লাগে বলে জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরের ৮ দশমিক ৭১ শতাংশের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়ালেও ফেব্রুয়ারিতে তা আবারও বেড়েছে। জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্য সূচক ডিসেম্বরের ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমে আসে; একই সময়ে নন-ফুড আইটেম বা খাদ্য নয় এমন পণ্যের মূল্য সূচক ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।
ফেব্রুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্য মূল্য সূচক ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ হয়। এরমধ্যে নন-ফুড আইটেমের মূল্য সূচক ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশে পৌঁছায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এসএমএকে/এএটি