ঢাকা: বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনাররা যাতে দেশের সংস্কৃতি ও ফ্যাশনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন, তার জন্য জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় রিসোর্স সরবরাহ করে তাদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল আয়োজিত "এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কমপিটিটিভনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট” এর অংশ হিসেবে আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, মসলিন, জামদানি, খাদি প্রভৃতির মতো দেশে উৎপাদিত ফেব্রিক্স ও ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করে উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি ও বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আমরা যদি আমাদের তরুণ এবং প্রতিভাবান ফ্যাশন ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তাহলে তারা উচ্চমূল্যের পোশাকের নকশা (ডিজাইন) তৈরি এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হবেন।
তিনি আরও বলেন, এটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের সংস্কৃতি ও ফ্যাশনকে তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করবে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের পণ্য রপ্তানি করতে সাহায্য করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এসডিজি-র চেয়ারম্যান ওয়াসিম জাকারিয়া, ডিজাইনার ও নেভাল-এর প্রতিষ্ঠাতা আনাদিল জনসন এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে উৎপাদিত ফেব্রিক্স ও ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করে উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাকের নকশা তৈরি/ডিজাইনিংয়ে দেশিয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও কর্মীদের প্রশিক্ষিত করার জন্য যে মডিউলের প্রস্তাবনা করা হয়েছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা।
মডিউলের ওপর ভিত্তি করে সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (সিআইইওএসএইচ) এর অধীনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
এমকে/এসআইএ