ঢাকা, বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন ২০২৫, ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ বিলিয়ন ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৪৭, জুন ২৫, ২০২৫
রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ বিলিয়ন ডলার

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার একসঙ্গে পেল বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন ডলার।

একই সময়ে আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে বা নিট রিজোর্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, দেশে এখন ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৭ বিলিয়ন ডলারে ঘরে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। এ হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভ বেশি আছে। যা একমাস আগেও ছিল না।  

চলতি জুন মাসের শুরুতে দেশে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৬ বিলিয়নের কাছাকাছি। একই সময়ে মোট বা গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর নিট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।

করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ দেশের রিজার্ভ উঠেছিল সর্বোচ্চ চার হাজার ৮শ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)।  করোনা পরবর্তি  মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি ও বৈদেশিক করোনা মধ্যে বন্ধ থাকা আমদানি শুরু হলে দ্রত কমতে থাকে রিজার্ভ। এ সময় দেশ বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি পড়ে। ডলারের বিপরীতে টাকা দর অবনমন হতে থাকলে প্রভাব পড়ে জ্বালানির দর ও আমদানিতে। সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। ফলে আস্তে আস্তে তলানিতে নামে রিজার্ভ। ওই সময় রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আইএমএফ এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে ২০২২ সালের জুলাইতে আবেদন করে বাংলাদেশ।

এরপর ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি এই ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ১৪০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখযোগ্য আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথমবারের মতো ঋণ পেয়েছে।

২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। চলতি সপ্তাহে ঋণের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার অনুমোদন করলে মোট রিজার্ভ ২৭ কোটি ডলার অতিক্রম করে যায়।  

জেডএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।