চাঁপাইনবাবগঞ্জ: রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলবন্দর ও শিবরামপুর জিরো পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বুধবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে রহনপুর রেল শুল্ক স্টেশনে এসে পৌঁছান।
রহনপুর রেলওয়ে এলসি স্টেশনে বন্দর সুবিধা চালু ও শিবরামপুরে প্রস্তাবিত স্থলবন্দর স্থাপনের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি এ সফর করলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেলসহ অন্যরা।
উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দ রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে রাজশাহী-মালদহ রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানান। পরে তিনি সড়ক পথে বাংলাদেশের রহনপুর-ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলরুটের জিরো পয়েন্ট শিবরামপুর পরিদর্শনে যান। সেখানে বাঙাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, বৃটিশ আমলে চালু হওয়া রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেলরুটটি সম্ভাবনাময় একটি রুট। এ রুট দিয়ে ভারত-নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে অল্প সময়ে কম খরচে সহজেই পণ্য আনা-নেওয়া করা সম্ভব। এর আগেও সরকারি উদ্যোগে নেপালে সার রপ্তানিসহ তিন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এ রুটটি চালু হচ্ছে না। ঘোষণা করা হচ্ছে না এটিকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর হিসেবে। তাই স্থানীয়দের আন্দোলন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের আন্তরিক চেষ্টায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সরজমিন পরিদর্শন করলেন। আশা করা যায়, শিগগিরেই এ দাবি বাস্তবায়ন হবে।
আর স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমান জানান, ভাতীয় সহকারী কমিশনার সম্ভাবনাময় এ রুটটি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়ভাবে এ রুটটি দিয়ে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোদমে চালুর দাবি জানানো হয়েছে। আর এসব দাবি পূরণ হলেই রহনপুর শুল্ক স্টেশনটি পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরে রূপান্তর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
এসআই