ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডাকাতির প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ডাকাতির প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন 

লক্ষ্মীপুর: সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর শহরের আর. কে. শিল্পালয়ের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে তার দোকানের স্বর্ণ লুট করেছে ডাকাতদল। এর প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধারের দাবিতে সোমবার (১২ জুন) বিকেলে ৪টায় মানববন্ধন করেছেন জেলার সব স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।

 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আয়োজনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়। এতে বাজুস নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন বক্তব্য দেন।  

বাজুসের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি হরিহর পালের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাজুসের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সমীর কর্মকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন মণ্ডল, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা ও বাজুসের জেলা শাখার সদস্য অজয় রায়সহ অনেকে।  

মানববন্ধনে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ চান। একই সঙ্গে গত ৭ জুন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আর. কে. শিল্পালয়ে ডাকাতি হওয়া স্বর্ণালংকার লুট, ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি দ্রুত কার্যকর না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।  

এদিকে একই দাবিতে সোমবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে জেলার সব স্বর্ণের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে।

বুধবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ‘আর. কে. শিল্পালয়’ নামে ওই সোনার দোকানে হানা দেয়। ডাকাতদল এসময় দোকানের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করে এবং সব সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। অপুকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু ককটেল উদ্ধার করে।  

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের ইটেরপুল এলাকায় ডাকাতদলের পিকআপ ভ্যানের চাপায় সফি উল্যা (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হন। এতে আহত হন ইসমাঈল হোসেন নামে আরও এক পথচারী।  

সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাতদলের সদস্য সবুজ ও মনসুর ওরফে রনিকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে সবুজের বাড়ি বরগুনা জেলায় এবং মনসুরের বাড়ি নরসিংদীতে। তাদের কাছ থেকে তিন ভরি চার রতি আট পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। দোকানের মালিকের দাবি, ডাকাতদল আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়েছে।  

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় সদর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি ডাকাতির, আরেকটি বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি সড়ক দুর্ঘটনার। এসব মামলায় আটক দুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। আটক দুজনকে শুক্রবার (৯ জুন) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার এখনো উদ্ধার হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।