ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।
সোমবার (০৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের ডেটাবেজ তৈরি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পণ্যের বাজার সংযোগ, এসএমই ক্লাস্টার উন্নয়ন ও কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার স্থাপন এবং বিশেষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে দেশে এক কোটি ১৮ লাখের বেশি সিএমএসএমই উদ্যোক্তার শতকরা ৭০ ভাগই ঢাকার বাইরে। তবে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঢাকার বাইরে কোনো কার্যালয় না থাকায় স্থানীয় প্রশাসন, এসএমই চেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। আর দেশজুড়ে নিজস্ব কার্যালয় ও নানা কর্মসূচি থাকায় ব্র্যাকের সহায়তায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
প্রসঙ্গত, এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং কার্যক্রম এবং প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১১ হাজার উদ্যোক্তার মধ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ সুবিধাভোগী নারী-উদ্যোক্তা। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশের প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই)। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে। এ খাতে প্রায় তিন কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যাদের ৬০ শতাংশই নারী-উদ্যোক্তা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. আব্দুস সালাম সরদার এবং ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক অমিত কান্তি সরকার।
জিসিজি/আরআইএস