ঢাকা, বুধবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

রেমিট্যান্সে করারোপের পরামর্শ আইএমএফের, যা ভাবছে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৬, অক্টোবর ৭, ২০২৫
রেমিট্যান্সে করারোপের পরামর্শ আইএমএফের, যা ভাবছে বাংলাদেশ প্রতীকী

রাজস্ব বাড়াতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর কর বসাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।

রেমিট্যান্সের ওপর করারোপ করলে এর কী প্রভাব পড়বে এবং এর যৌক্তিকতা নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ডের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

প্রবাসী আয় বৈধ চ্যানেলে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। অর্থনীতির নানা সংকটের মধ্যেও স্মরণকালের বেশি প্রবাসী আয় আসছে। এ সময়ে আইএমএফ-এর সর্বশেষ ঋণের কিস্তির ছাড়ের সময়ে দেওয়া রেমিট্যান্সের ওপর করারোপের শর্তটি সামনে চলে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০.৩২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৮০ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসেও প্রবাসীরা সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ডলার সংকট কাটাতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে যখন সরকারের উদ্যোগ চলছে তখনই আইএমএফের এমন শর্তে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা এর ফলে প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রবাহ সৃষ্টি করতে পারে।

এ বিষয়ে নিয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের করনীতি বিভাগের সদস্য ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইএমএফের রেমিট্যান্সের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব গ্রহণ করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। তারা অনেক কিছুই প্রস্তাব করে। আমাদের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনেক সময় অনেক কিছুই গ্রহণ করার মতো অবস্থা থাকে না। জাতীয় স্বার্থ মাথায় রাখতে হবে। ’

গত বছরে ডলার সংকটে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে পড়ে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় চাপ সামলাতে প্রণোদনা বৃদ্ধি সহ বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়। দেশে প্রবাসী আয় পাঠাতে কাগজপত্র দেখানোর বাধ্যবাধতা শিথিল করার পাশাপাশি রেমিট্যান্সের প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে পাঠানো অর্থের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়। এসব উদ্যোগের ফলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ পর্যন্ত প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন প্রবাসী আয়ে করারোপ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। টান পড়তে পারে প্রবাসী আয়ে। ফলে আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান আইএমএফ যাই বলুক আপাতত এ পথে হাঁটার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।

জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।