ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য মেলা

সাধ-সাধ্যের মধ্যে অ্যালয়ের আসবাব পণ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
সাধ-সাধ্যের মধ্যে অ্যালয়ের আসবাব পণ্য ছবি: রেহানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুতেই মানুষের রুচি-অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটে। সমাজ-সংসারে আসে নতুনত্ব।

তৈরি হয় নতুন নতুন সব চাহিদার। তাই তো নিত্য বা স্থায়ী ব্যবহারিক নানা সামগ্রী, উপকরণে নতুনত্ব খুঁজে বেড়ায় মন। সাধের সাথে সাধ্যের যোগ হলেই মানুষ মনের মতো করে সাজিয়ে নেয় সমাজ, পরিবার, সংসার।
 
সংসারের নতুনত্ব ও চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখেই ‘অ্যালয় অ্যালুমিনিয়াম ফার্নিচার লিমিটেড’ নিত্য ব্যবহার্য তৈজসপত্র থেকে শুরু করে খাট-পালঙ্ক গৃহস্থালির প্রায় সব সামগ্রীতে নিয়ে এসেছে নতুনত্ব। প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশে এককভাবে অ্যালুমিনিয়ামের গৃহস্থালি সামগ্রী বাজারজাত করে আসছে দেশীয় এ কোম্পানিটি।
 
মধ্যবিত্তের সাধ এবং সাধ্যের কথা বিবেচনায় নিয়েই ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালয় পণ্যে বিশেষে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
 
শনিবার (১০ জানুয়ারি) ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার দশম দিনে অ্যালয় অ্যালুমিনিয়ামের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আধুনিক, রুচিসম্মত আসবাবপত্রসহ গৃহস্থালির প্রায় সব সামগ্রীই রয়েছে এই প্যাভিলিয়নে। তবে তৈজস সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে মূল্যে ছাড় দিচ্ছে না অ্যালয়।      

অ্যালয় অ্যালুমিনিয়ামের ম্যানেজার পঙ্কজ হালদার বাংলানিউজকে জানান, অ্যালুমিনিয়াম এবং এইচডিএফ (প্রক্রিয়াজাতকৃত এক ধরনের বিশেষ কাঠ) দিয়ে তৈরি এসব সামগ্রী কাঠের আসবাবপত্রের চেয়ে টেকসই। অ্যালয়ের কোনো পণ্যেই মরিচা পড়ে না বা ঘুণে ধরে না। আগুন এবং পানি প্রতিরোধক হওয়ায় প্রত্যেকটি পণ্যই কাঠ কিংবা স্টিলের পণ্যের চেয়ে স্থায়িত্বও বেশি। তাছাড়া প্রত্যেকটি পণ্যই দামে সুলভ যা মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে।

তিনি জানান, ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের বাজারে আসবাবপত্রসহ তৈজসপত্র সামগ্রী বাজারজাত করে আসছে অ্যালয়। ২০০৪ থেকে নিজস্ব প্যাভিলিয়ন নিয়ে মেলায় অংশ নিয়ে আসছে কোম্পানিটি।
 
পঙ্কজ হালদার বলেন, এবারের মেলায় আলমিরা, ওয়্যারড্রপে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ, নান্দনিক নকশার সবকটি ড্রেসিং টেবিলে ১২ শতাংশ, খাটে ১১ শতাংশ, কেবিনেট, সেলফ, মিটসেফে ১০ শতাংশ এবং কর্নার আসবাব বিক্রির ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা কিছুটা জমলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এখনো মেলা প্রাণবন্ত হচ্ছে না বলে অভিযোগ পঙ্কজ হালদারের।
 
দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
 
১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৫-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এ বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, জার্মানিসহ মোট ১৫টি দেশ অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৪৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।