ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩ বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে ব্রাদারের নতুন প্রিন্টার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
৩ বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে ব্রাদারের নতুন প্রিন্টার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্বখ্যাত জাপানি লেজার ও ইঙ্কজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্রাদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সর্বোচ্চ ৩ বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে নয়টি মডেলের নতুন প্রিন্টার বাজারে নিয়ে এসেছে।
 
ব্রাদারের একমাত্র পরিবেশক গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা.) লিমিটেড বাংলাদেশের আইটি মার্কেটে সর্বশেষ সংস্করণের এসব প্রিন্টার নিয়ে এসেছে।


 
সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ব্রাদার প্রিন্টারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম সারোয়ার এসব তথ্য জানান।
 
নয়টি মডেলের মধ্যে দুইটি ইঙ্কজেট প্রিন্টার (DCP-T300 ও DCP-T700W), চারটি লেজার প্রিন্টার (DCP-1520, DCP-1610W, MFC-1910W ও MFC-1815), দুইটি স্ক্যানার (ADS-1600W ও ADS-2100) এবং একটি লেবেল প্রিন্টার (PT-9700)।
 
গোলাম সারোয়ার বলেন, বাংলাদেশের বাজারে যেকোনো প্রিন্টারে ১ বছরের বেশি ওয়ারেন্টি দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র ব্রাদার ৩ বছরের ওয়ারেন্টি দেয়।
 
তিনি বলেন, ইঙ্কজেটের মূল্য সাড়ে ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা এবং লেজার প্রিন্টারের মূল্য ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার টাকা।
 
এ প্রিন্টারগুলো ভোক্তা, ছোট ও মাঝারি আকৃতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ভরযোগ্য, উচ্চমানের এবং ব্যয়সাশ্রয়ী প্রিন্টের চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
 
নতুন লেজার প্রিন্টারগুলোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল আলাদা টোনার কার্টিজ ও ড্রাম ইউনিট। প্রয়োজনে সহজেই প্রতিটি কম্পোনেন্ট আলাদা আলাদা প্রতিস্থাপন করা যায়।

সারোয়ার বলেন, ব্ল্যাক কার্টিজের মূল্য ৭শ’ টাকা (৬ হাজার পাতা মুদ্রণ করতে সক্ষম) এবং ৩ ধরনের কালার কার্টিজের মূল্য ৬২৫ টাকা (৫ হাজার পাতা মুদ্রণ করতে সক্ষম)।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রিন্টার মানে প্রিন্ট, কপিয়ার ও স্ক্যান। ব্রাদার ৩টির সমন্বয় করেছে। বর্তমানে একজন কর্মকর্তার টেবিলে ৩টি আলাদা বসানোর জায়গা থাকে না।
 
ইঙ্কজেট প্রিন্টারের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ইঙ্কজেট প্রিন্টার তিনটি শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে সর্বোচ্চ কার্টিজ ক্যাপাসিটির প্রিন্টার। সর্বোচ্চ ৫ হাজার কালার প্রিন্ট করা যাবে। এর আগে বাংলাদেশে যেসব ব্র্যান্ডের প্রিন্টার বাজারে এসেছে তার সর্বোচ্চ প্রিন্ট ক্যাপাসিটি ছিল আড়াই হাজার। কার্টিজের দামও কম, মাত্র ৬২৫ টাকা।
 
লেজার প্রিন্টারের বর্ণনায় তিনি বলেন, প্রিন্টার, কপিয়ার, স্ক্যানার, ফ্যাক্স (MFC-1815)। যারা ছোট্ট অফিসের মধ্যে আলাদা প্রিন্টার, কপিয়ার, স্ক্যানার ও ফ্যাক্স মেশিন কিনতে চাচ্ছেন না তারা অল্প বাজেটে কম জায়গায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি বর্তমানে সর্বাধুনিক মেশিন। অন্য লেজার প্রিন্টারগুলোও একই রকম।
 
লেবেল প্রিন্টার সম্পর্কে সারোয়ার বলেন, ব্রাদারের লেবেল প্রিন্টার বাজারের অন্য লেবেল প্রিন্টার থেকে আলাদা। ব্রাদারের যতো লেবেল প্রিন্টার আছে সবগুলো লেমিনেটেড টেপ দিয়ে তৈরি। এর মাধ্যমে লেমিনেটেড করলে আগুন ছাড়া লেমিনেশনের কোনো ক্ষতি হয় না। এছাড়া যে লেবেল তৈরি হয় তা নষ্ট হবে না। বাংলাদেশের আইসিডিডিআরবি, গ্রামীণফোনসহ বেশ বড় বড় কোম্পানি ব্রাদারের লেবেল প্রিন্টারের লেবেল ব্যবহার করে।
 
এডিএস (অটো ডকুমেন্ট স্ক্যানার) সম্পর্কে তিনি বলেন, এ স্ক্যানার দিয়ে হাজার হাজার ডকুমেন্ট উভয় পাশ একসঙ্গে একবারে কালার স্ক্যান করা যাবে। লাখ লাখ পাতা সহজে স্ক্যান করতে পারা যায় বলে একে ইলেট্রনিক আর্কাইভ বলে। মাত্র একটি হার্ডডিক্স বা পেনড্রাইভের মধ্যে লাখ লাখ কপি রাখা সম্ভব। নতুন এ প্রিন্টারের দামও ২৮-২৯ হাজার টাকার মধ্যে।
 
ব্রাদারের জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ব্রাদারের পণ্য টেকসই। একবার যারা ব্যবহার করেছেন, দ্বিতীয়বার অন্য কোম্পানির প্রিন্টার ব্যবহার করেননি।
 
তিনি বলেন, ৩ হাজার টাকায়ও প্রিন্টার পাওয়া যায়। কিন্তু তা ব্রাদারের মতো নয়। দাম একটু বেশি হলেও ভালো পণ্য দিচ্ছে ব্রাদার।
 
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাদারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট) এ এস এম মইনুল হক, ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।