ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গৌরবোজ্জ্বল ২৫ বছর

এপেক্সের পুরস্কার পেলেন ৩০ ভাগ্যবান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এপেক্সের পুরস্কার পেলেন ৩০ ভাগ্যবান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশীয় ব্র্যান্ড এপেক্স’র গৌরবোজ্জ্বল ২৫ বছর পূর্তিতে হুন্দাই এয়ন গাড়ি, মোটর সাইকেল ও আইফোন জিতেছেন ৩০ ভাগ্যবান। এরমধ্যে ২৫টি পুরস্কার জিতেছেন সাধারণ ক্রেতা।

বাকি ৫টি জিতেছেন ডিলাররা।
 
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ৠাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে এ পুরস্কার ঘোষণা করে এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
 
তিনি বলেন, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড দেশের অন্যতম বৃহৎ চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সুনাম ও আস্থা অর্জন করেছে।

সুদীর্ঘ পথচলায় ক্রেতাদের অংশীজন করতে একটি ক্যাম্পেইন নেওয়া হয়। ৮ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইনে এক হাজার টাকার পণ্য (জুতা) কিনে এক লাখ ৫৭ হাজার ৪২০ জন ক্যাম্পেইনে অংশ নেন। এর মধ্যে ৩ জন হুন্দাই এয়ন গাড়ি, ৪ জন মোটর সাইকেল ও ১৮ জন আইফোন জিতেছেন।
আর অংশ নেওয়া দুই হাজার ৪৭ জন ডিলারের মধ্যে ৩ জন মোটর সাইকেল ও ২ জন হুন্দাই এয়ন জিতেছেন।
 
নাসিম বলেন, ১৯৯০ সালে এপেক্স বাংলাদেশ থেকে প্রথম জুতা রপ্তানি শুরু করে।
 
তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্পন্ন জুতা বাজারজাত চ্যালেঞ্জ। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে এপেক্স সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদাকে প্রধান প্রাধান্য দেয় এপেক্স। বিদেশে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে হলে ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে।
 
কোম্পানির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ গিয়াস হোসাইন বলেন, এপেক্স যখন বাংলাদেশে জুতা তৈরি শুরু করে তখন দৈনিক এক হাজার থেকে ১২শ’ জুতা তৈরি হতো। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী ৫০ হাজার জুতা তৈরি হচ্ছে। এপেক্স বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ জুতা তৈরি করে। কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটির জন্য এপেক্স দেশীয় মার্কেটে একটি বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে ১শ’ দেশে এপেক্সের জুতা রপ্তানি হচ্ছে। দেশের প্রায় সব জেলায় এর নিজস্ব ডিলার রয়েছে। এপেক্স মানে আপোস করে না। এক সময় বিদেশি ডিজাইন প্রাধান্য পেলেও বর্তমানে দেশীয় তরুণদের ডিজাইনকে প্রাধান্য দেয় অ্যাপেক্স।
 
অনুষ্ঠানে প্রদীপ কান্তি সাহা, তাইফুর রহমান, এটিএম আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ আক্তার আজীমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
আরইউ/এএসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।