ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারের উন্নয়ন ডিজিটাল স্ক্রিনে

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
সরকারের উন্নয়ন ডিজিটাল স্ক্রিনে

ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মাসেতু, হাতিরঝিল, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পগুলো ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে নগরবাসীর সামনে প্রচার করা হবে। এগুলোসহ সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে তৈরি এসব ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপন করা হবে রাজধানীর পাঁচটি জনসমাগম এলাকায়।


 
ডিজিটাল স্ক্রিনে থাকছে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), রাজধানীর মেট্রোরেল, এলএমজি টার্মিনাল, কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প, আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট এবং পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরও।
 
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট, সংসদ ভবন এলাকার সংসদ সদস্য ভবন (ন্যাম ভবন) ও এয়ারপোর্ট এলাকায় প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ডিজিটাল স্ক্রিনে সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচার করা হবে। এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘Showcasing planned Development in Bangladesh’।
 
পরিকল্পনা বিভাগ ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ডিজিটাল স্ক্রিনগুলো স্থাপন করবে।
 
পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের উন্নয়ন কাযর্ক্রমে যেমন গতিশীলতা  এসেছে, তেমনি অর্থনীতির সকল সূচকে  ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গত পাঁচ বছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৮ পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে সৃষ্ট ভয়াবহ মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির এ অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এ বিষয়গুলো সবার জানা দরকার। সে লক্ষ্যেই প্রচার করা হবে।
 
পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী ও রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
 
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য, সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। তাই উন্নয়নের ফলাফল জনগণের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের যুগোপযোগী ডিজিটাল প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত রাখতেই প্রচার।
 
পরিকল্পনা বিভাগের  সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আজম বাংলানিউজকে বলেন, লোক সমাগম বেশি হয়,  এমন পাঁচটি স্থানে আমরা প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল স্ক্রিন বসাবো। প্রকল্পটি একনেক বৈঠকে উত্থাপন করা হলে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
 
এর আগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ন্যাম ভবন ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংলগ্ন এলাকায় এলইডি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে বিগত একনেক বৈঠক থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ন্যাম ভবনের স্থানটি রেখে বাকি এলাকাকে বাদ দেওয়া হয়। মঙ্গলবারের একনেক বৈঠক সোহরাওয়ার্দী  উদ্যান, কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্ক ও এয়ারপোর্টে ডিজিটাল এলইডি স্ক্রিন স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
 
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা ঢাকার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল স্ক্রিন বসাবো। এখানে সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচার করবো। এরপরে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল স্ক্রিনে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।