ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিক্রি বেড়েছে শাল, কম্বল, মোদি কোটির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
বিক্রি বেড়েছে শাল, কম্বল, মোদি কোটির ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শীতের প্রকোপ বেড়েছে, চলছে রিনরিনে ঠাণ্ডা হাওয়ার চিমটি। আর তা যেন আশীর্বাদ হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার শীতসামগ্রী বিক্রেতাদের জন্য।



তারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিন ধরে শাল, কম্বল, মোদি কোটি বিক্রি করছেন বেশ।

২৫২ নম্বর স্টলে কণা হ্যান্ডিক্রাফটস। এমডি বজলুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ৩৫ বছরের ব্যবসা আমাদের। এ শীতে বিক্রি আশানুরূপ হয়নি। তবু গত ৫ দিনে ভালোই বিক্রি করেছি। এ শীতটা আরও কয়েকটা দিন আগে পড়লে ভালো হত।

তিনি জানান, চায়না, ইন্ডিয়ান কাশ্মীরি ও বাংলাদেশি শাল রাখছেন। এর মধ্যে দামে সস্তা ও বেশ পাতলা বলে চায়না শালের বিক্রি বেশি।

নিউমার্কেটে তাদের মূল শো-রুম। মেলায় পণ্যগুলো কিছুটা কম দামেই ছেড়ে দিচ্ছেন বলে জানান।

চায়না শালের দাম ২০০-৩০০ টাকা, ইন্ডিয়ান কাশ্মীরি শাল ৬০০-২৫০০ টাকা, বাংলাদেশি মনিপুরি ৩০০ শাল, খাদি শাল ২০০ টাকা। ৯৫০ টাকার চায়না কম্বল মেলায় ৭০০ টাকায় দিচ্ছেন তারা।

২২২ নম্বর স্টলে সরকার ট্রেডার্স। সেলস ইনচার্জ রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, পুরো মেলায় যতোটা বিক্রি করেছি, গত তিনটি দিনে বেচেছি তার চেয়ে বেশি।

এখানে কাশ্মীরি শাল ৭০০-৩০০০ টাকা, চায়না শাল ২৫০-৩০০ টাকায় বেশ বিক্রি হচ্ছে।

রুহুল বলেন, চিকন শাল বেশি নিচ্ছেন ক্রেতারা।

রাবেয়া ফ্যাশনের মোদি কোটি গত ৪ দিন ধরে প্রতিদিন অন্তত ১০০টি করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতা বাবলু মিয়া।

তিনি বলেন, এর আগে মেলা শুরুর দিন থেকে হিসাব করলে ১৫টির বেশি কোনোদিন বেচা যায় নাই।

মোদি কোটি প্রতিটি ৮০০ টাকা দাম লেখা থাকলেও বেশি সংখ্যায় কিনলে দরদামের সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

অধরা এন্টারপ্রাইজে রঙিন মোদি কোটিও ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

হোম টেক্সটাইলের শো-রুমে ভিড় পাওয়া যায় কম্বল, শাল ঘিরে। ২৫০০-৩৮০০ টাকা দামের কম্বল বিক্রি করছেন তারা।

কাশ্মীরি শাল পাতলাগুলো ৩৫০-৪৫০ টাকা, ভালো মানেরগুলো ২০০০-২২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে বাংলানিউজকে জানান বিক্রেতা সাইদুর রহমান।

মেলার শুরু থেকে বিছানার চাদর ও শিশুদের পুতুল বেশি বিক্রি হলেও গত কয়েকদিনের শীতে শাল-কম্বলের কদর বেড়েছে বলে জানান তিনি।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে বলেও জানান সাইদুর।

শীত সামলাতে ৩টি চায়না শাল কিনেছেন মিরপুরের স্বর্ণা ভৌমিক।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পাতলা শাল এগুলো। ক্লাসে যেতে পরি, ওড়নার কাজ চলে, শীতও সামলানো যায়।

অন্য দোকানিরাও বলছেন, পাতলা, কিন্তু যথেষ্ট ওমদায়ক শাল খোঁজেন নারী ক্রেতারা। অনেকেই একসঙ্গে বেশ কয়েকটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কাছের মানুষদের উপহার দেবেন বলে।

ওড়না আকৃতির শাল বেশি কিনছেন শিক্ষার্থীরা। মাল্টিকালারের শাল বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে জানা যায় ক্রেতা-বিক্রতার বক্তব্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসকেএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।