ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪ মাস আগে উদ্বোধন এনবিআর ভবন, প্রথম আয়কর মেলা

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
৪ মাস আগে উদ্বোধন এনবিআর ভবন, প্রথম আয়কর মেলা    ছবি- জি এম মুজিবুর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সুউচ্চ ‘জাতীয় রাজস্ব ভবন’ নির্মাণের মাধ্যমে এক ছাদের নিচে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব অফিস।
 
নির্মাণাধীন ৩০তলা বিশিষ্ট ভবনটি সরকারি অফিসের মধ্যে সুউচ্চ।

আধুনিক সুবিধা সম্বলিত জাতীয় রাজস্ব ভবন হবে সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে ‘আইকন বিল্ডিং’।
 
২০১৮ সালের জুনে ভবনটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও চার মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। তবে চলতি বছরের আয়কর মেলা হবে এ ভবনে।
 
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবন পরিদর্শনে এলে প্রকল্প পরিচালক আবদুর রাজ্জাক এ কথা জানান।
 
এনবিআর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৮ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অগ্রগতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
ইতোমধ্যে ষষ্ঠ তলার কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সোলার প্যানেল, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা সম্বলিত এ ভবনে ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু হবে।
 
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আয়কর মেলা হবে এ ভবনে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে এনবিআর। এ ভবনে এনবিআরের সব অফিস চলে আসবে।
 
‘রাজস্ব ভবন-১’ নামে ২ একর জায়গায় হচ্ছে ৩০তলার নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর এ আইকন বিল্ডিং। এর পাশে ১.৮০ একর জায়গায় হবে ‘রাজস্ব ভবন-২’ নামে একটি ভবন।
 
আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রথমে ১২তলার কাজ শেষ হবে। ক্রমান্বয়ে ৩০তলা হবে। হেলিপ্যাড সুবিধা সম্বলিত এ ভবনে থাকবে সার্বক্ষণিক জেনারেটর সুবিধা।
 
প্রবেশ পথে নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়া, মেডিকেল সেন্টার, ডে-কেয়ার সেন্টার, মিডিয়া সেন্টার, সার্ভিস সেন্টার, প্রতি ফ্লোরে আলাদা রিফ্রেশ রুম।
ব্যাংক, ১৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, ৬৬ হাজার বর্গফুটের ২টি বেজমেন্টে ১২৩টি গাড়ি, ১২৫টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
 
৪৪ হাজার বর্গফুটের ১ থেকে ৩ তলা পর্যন্ত থাকবে সাধারণ ব্যবহারের জন্য। চতুর্থ তলায় থাকবে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল ও কর পরিদর্শন পরিদফতর।
 
৫ম তলায় চেয়ারম্যান ও ১৬ জন সদস্যের দফতর। ৬ ও ৭ম তলায় প্রথম ও দ্বিতীয় সচিব, ৮ম তলায় বৃহৎ করদাতা ইউনিট (কর ও ভ্যাট)। ৯ম ও ১০ম তলায় কর ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনাল, ১১ তলায় কেন্দ্রীয় জরিপ, ১২ তলায় শুল্ক গোয়েন্দা ও আইসিটি।
 
আধুনিক লিফট, কেন্দ্রীয় ডাটা প্রসেসিং সেন্টার ও সার্ভার স্পেস, কল সেন্টার, প্রতি তলায় গ্রিন স্পেস, অ্যাট্রিয়াম, মার্বেল ফ্লোর, ফরেনসিক ল্যাব, পোস্ট অফিস। কুরিয়ার সার্ভিস, স্টেশনারি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কক্ষ, রেস্ট হাউস ও ডরমিটরি, সৌন্দর্যবর্ধনে পানির ফোয়ারা, ভাস্কর্য ও সুদৃশ্য বাগান থাকবে।
 
১৪১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার (২০০৮ সালের দর তফসিল অনুযায়ী) প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ৫২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় (সংশোধিত প্রকল্প ব্যয়) দাঁড়িয়েছে।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ঢাকায় ৩০তলা আর চট্টগ্রামে ৪০তলা সুউচ্চ ভবন হবে। এতে এক ছাদের নিচে সব অফিস চলে আসবে।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে এনবিআর ভবনের কাজ কিছুটা শেষ হবে। তখন কিছুটা ব্যবহার করা যাবে।
 
তিনি বলেন, এ ভবন একটি ভালো স্থাপনা হতে পারে। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ঢাকার সরকারি অফিসের মধ্যে এটি হবে সর্বোচ্চ ভবন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।