ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-ভারত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক রোববার

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
বাংলাদেশ-ভারত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক রোববার

ঢাকা: দু'দেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি ও নৌ প্রটোকলে দ্বিপাক্ষিক ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের পাশাপাশি তৃতীয় দেশে একই সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। তবে ফি নির্ধারণসহ বেশ কিছু বিষয়ে পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে ভারতের মধ্যে দিয়ে অন্য কোনো দেশে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টর সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশ।

রোববার (২১ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী দু’দেশের স্ট্যান্ডিংক কমিটির বৈঠকে ফি নির্ধারণসহ সব জটিলতা কাটতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র। বৈঠকে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ভারতের নৌ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দু’দেশের নেতৃত্ব দেবেন।

ইতোমধ্যে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। ১৯৭২ সালের স্বাক্ষরিত দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তির আওতায় নৌ প্রটোকলে সই করে বাংলাদেশ-ভারত। এ চুক্তিতে থাকা তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু’দেশেই একে অপরের সড়ক ও নদীপথ দিয়ে নেপাল, ভুটান এমনকি চীন ও মিয়ানমারেও পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে।

স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ‘ফি নির্ধারণসহ বেশ কিছু বিষয়ে ঐক্যমতে আসতে না পারায় ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে জটিলতা কাটছে না।   আশা করি এবারের বৈঠকে এ বিষয়টি নিরসন হবে। ’

সূত্র আরও জানান, তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদীপথে ট্রানজিট ও বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রটোকল অন এনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডব্লিউটিটি) বাইরে এ বিষয়ে আলাদা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।

পিআইডব্লিউটিটি’র নানা বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে রাজি হয়েছে দু’দেশ। রোববারের বৈঠকটি তারই অংশ। নিয়মিত বিষয় ও বিদ্যমান জটিলতার পাশাপাশি এ বৈঠকে নতুন বিষয়েও আলোচনা হবে।

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে পিআইডব্লিউটিটির সংশোধনী করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান পিআইডব্লিউটিটি’র মেয়াদ ৩১ মার্চ ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান নৌ প্রোটকল চুক্তি ৫ বছরের জন্য নবায়ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ১০ বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বাংলাদেশ তাতে সম্মতি দেয়নি। বাংলাদেশ প্রথমে ৩ বছরের জন্য মত দিলেও বাণিজ্য চুক্তির আদলে একই মেয়াদে নৌ প্রোটকল চুক্তি ৫ বছরের জন্য নবায়নের বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

নৌ পথে কম মূল্যে পণ্য পরিবহনের জন্য এ চুক্তিটি বাংলাদেশ-ভারতের ১৯৭২ সালের ২৮ মার্চের বাণিজ্য চুক্তির আওতায় প্রথম সই হয়। সে সময়ে চুক্তিটি এক বছর এবং পরবর্তিতে দুই বছর পরপর নবায়ন করা হতো। তবে ২০১৩ সালে বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ ৩ বছর করা হয়। সেই সঙ্গে এ চুক্তিটিও তিন বছর মেয়াদী হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
জেপি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।