ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় আড়াই কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় আড়াই কোটি টাকা

ব্যবস্থাপনার নামে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ঢাকা: ব্যবস্থাপনার নামে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

আইডিআরএ’র কাছে তথ্য রয়েছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ মিলে নির্ধারিত ব্যয়ের চেয়ে ওই পরিমাণ টাকা বেশি খরচ দেখিয়েছে। এ কারণে আইডিআরএ’র সবশেষ বোর্ডসভায় অডিট ফার্ম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

সূত্র জানায়, অডিট ফার্ম কোম্পানির বিনিয়োগ, ঋণ, অগ্রিম, স্থায়ী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদ, গাড়ি, জমি ও বিল্ডিং, নগদ টাকা, ট্যাক্স ও ভ্যাট, চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা কী পরিমাণ সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন তার পর্যালোচনাসহ আয়, ব্যয় ও সম্পদের বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখবে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ৫৬ কোটি ০১ লাখ টাকা। অথচ নিয়ম অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারবে ৫৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত সাত বছরের ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি অবৈধ ব্যয় করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যা বিমা আইন-২০১০ এর ৬৩ ধারা ও বিমা বিধিমালা-১৯৫৮ এর লঙ্ঘন।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানটি গত ৭ বছরে ব্যবস্থাপনা ব্যয় খাতে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৩৯ লাখ, ২০১১ সালে ৩২ লাখ, ২০১২ সালে ২৯ লাখ, ২০১৩ সালে ৪১ লাখ, ২০১৪ সালে ৩৮ লাখ এবং ২০১৫ সালে ৭৭ লাখ টাকা টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে। তবে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে আইনি সীমার ভিতরে ব্যয় করেছে।

আইডিআরএ’র সদস্য জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, জীবন বিমার পাশাপাশি সাধারণ বিমা খাতের মাকেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভূত খরচ পাওয়া গেছে।

আইনে নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ের কারণে কোম্পানির বিমা দাবি পরিশোধের সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শেয়ার হোল্ডাররা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন। তাই কোম্পানির নিয়ম বহির্ভূত খরচের কারণ জানতে কোম্পানিতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আমিনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।