ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লাল-সবুজে ছেয়ে গেছে আজিজ মার্কেট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
 লাল-সবুজে ছেয়ে গেছে আজিজ মার্কেট ছবি: দীপু মালাকার

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের বিপণি বিতানগুলো সেজেছে লাল-সবুজ রংয়ে। বিজয় নিশানের রং দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক।

ঢাকা: বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের বিপণি বিতানগুলো সেজেছে লাল-সবুজ রংয়ে। বিজয় নিশানের রং দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক।

সব বয়সীদের পোশাকের লাল-সবুজ রং ব্যবহার করা হলেও ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। আর তাই প্রতিবারের এতো এবারও ভালো বিক্রির প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
 
শুক্রবার (০২ নভম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে মার্কেটে এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সব বয়সীদের জন্য রয়েছে লাল-সবুজ রংয়ের পোশাক। পুরুষদের জন্য ট্রি-শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা ও ফতুয়া। শাড়ি, থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, কোর্তা, ফতুয়া রয়েছে নারীদের জন্য। শিশুদের জন্য আছে পাঞ্জাবি-পায়জামা, ফতুয়া ও ট্রি-শার্টসহ বাহারি পোশাক।

মার্কেট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে সর্বচ্চো ৮৩০ টাকায়। শাড়ি ৯৫০ থেকে ২৪৫০, থ্রি-পিস ৫০০ থেকে ৫ হাজার, ফতুয়া ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্রি-শার্ট ১৫০ টাকা।

এছাড়া শিশুদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, ফতুয়া, ট্রি-শার্ট, ফ্রক পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ৬০০ টাকায়। তবে বড়দের চেয়ে ছোটদের পোশাকে লাল রংয়ের ব্যবহার বেশি এবং বিক্রিও বেশি।

মার্কেটের বিসর্গ বিতানের বিক্রেতা স্বপন কুমার শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বিসর্গ ভিন্ন কিছু ডিজাইনে লাল ও সবুজ রং ব্যবহার কারে ভিন্ন ধরনের পোশাক এনেছে। গতবারের চেয়ে এবার ডিজাইনের ভিন্নতা বেশি।

তিনি বলেন, বিসর্গতে সব বয়সীদের পোশাক পাওয়া যাবে। সব বয়সীদের পোশাকে লাল ও সবুজ রংয়ের মিশ্রণ রয়েছে। তবে রং দু’টি হলেও ডিজাইনে ভিন্নতা রয়েছে।

বিক্রি কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, বিক্রি মাত্র শুরু হয়েছে। গতবছর একলাখ টাকার ওপরে ব্যবসা করেছেন তিনি। এবার আরও বেশি বিক্রি হবে বলেও জানান স্বপন কুমার।

আজিজ সুপার মার্কেটে বাবা-মায়ের সঙ্গে পোশাক কিনতে এসেছে রাতুল কুমার বণিক (৭)। তারা উত্তরা থেকে পোশাক কিনতে আজিজে এসেছে।

উত্তরায় থেকে আজিজে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে রাতুলের বাবা অজয় কুমার বণিক বলেন, আজিজ সুপার মার্কেটে সব সময় ভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। যা অন্য মার্কেটগুলোতে নেই। ভিন্ন হওয়ার কারণে আজিজেই আসি। এছাড়া এই মার্কেটে দামও কম।

আজিজের বিসর্গ বিতানে মেয়ে ফারিয়ার জন্য পোশাক কিনতে এসছেন তারানা ইসলাম। তিনি বাংলানউজকে বলেন, মেয়ের জন্য পোশাক দেখছি। দিবসগুলোতে নিজের জন্য কিছু না কিনলেও বাচ্চাদের জন্য কিনতে হয়। কারণ বাচ্চাদের আনন্দটা অন্যরকম। যে কোনো দিবস নিয়ে ওদের উচ্ছ্বাসটা বেশি থাকে।

আজিজে এক্সক্লুসিভ কালেকশন থাকায় আজিজেই আসা হয়। তাছাড়া দামও নাগালের মধ্যে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজিজের নবরূপা বিতানের মনির, রাজু ও মিজান রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখনও বিক্রি তেমন জমে ওঠেনি। তবে ৫ তারিখের পর থেকে বিক্রি বেড়ে যাবে। যা সারা মাস চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
আরএটি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।