ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশের দাবি ব্যাংকিং সম্মেলনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশের দাবি ব্যাংকিং সম্মেলনে

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম)  সুপার নিউমারি প্রফেসর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন আলী বলেছেন, ভারতের মতো ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করা হোক।

ঢাকা: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম)  সুপার নিউমারি প্রফেসর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন আলী বলেছেন, ভারতের মতো ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। তালিকা প্রকাশ হলে সামাজিকভাবে তারা হেয় প্রতিপন্ন হয়ে টাকা ফেরত দেবেন।


 
রোববার (০৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটি‌উট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত দুই দিনের ‘অ্যানুয়াল ব্যাংকিং কনফারেন্স ২০১৬’ ম্যাক্রো ফাইন্যান্সিয়াল এনভায়রনমেন্ট নিয়ে উপস্থাপন করা গবেষণাপত্রের ওপর প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
 
এসব গ্রাহকের টাকা ফেরত না দেওয়াকে মারাত্মক আর্থিক অপরাধ মন্তব্য করে ইয়াসিন আলী বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ না নিলে এটা বড় ধরনের একটি অপসংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে যাবে।
 
ইয়াসিন আলী বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলো নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকের পেছনে ঘুরছে। কোনো কোনো গ্রুপের হাতে এখন ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। যারা কোনো কারণে সমস্যায় পড়লে ৫ থেকে ৬টা ব্যাংক একেবারে ধসে পড়বে।   খেলাপি ঋণের মামলা দ্রুত শেষ করতে সরকারের কাছে অর্থঋণ আদালতের কাজ দ্রুততর করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান ইয়াসিন আলী।
 
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ যদি পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন ও অবলোপন (রাইট অফ) করার সুযোগ না দেওয়া হতো তাহলো বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের চিত্র আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতো। কেননা ব্যাংক খাতের ১ হাজার শীর্ষ ঋণগ্রহীতার ২৫ শতাংশই এখন খেলাপি।
 
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে শুরু হওয়া সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
 
প্রথম দিনে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর ১২টি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। এতে ব্যাংকিং খাতের ঋণ পরিস্থিতি, ব্যবসায়ে সেবা, আইসিটি, আইসিসি, এইচআর এবং ইসলামিক ফাইন্যান্স নিয়ে আলোচনা করা হয়।  
 
তৌফিক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাইট অফ, পুনঃতফসিল এবং পুনর্গঠন সুবিধা যদি না দেওয়া হতো তাহলে খেলাপি ঋণের চিত্র আরও মন্দ অবস্থানে চলে যেতো। যে পরিস্থিতিকে ‘শকিং সিনারিও’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১ হাজার শীর্ষ গ্রহীতার মধ্যে ২৫ শতাংশই এখন খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে। আর গত ৫ বছরে বড় অংকের ঋণের প্রায় ৩৮ শতাংশ রাইট অফ করা হয়েছে।
 
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিআইবিএম’র প্রফেসর ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানর্জি ও ব্যাংক এশিয়ার এমডি আরফান আলী।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর  ০৪, ২০১৬
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।