তিনদিন ধরে খনি ভূ-গর্ভের ১২০০ থেকে ১৪০০ ফুট নিচে ভিজা কাপড়ে অবস্থানকারী ২৮৫ জন ধর্মঘটী শ্রমিকের জীবন ক্রমেই বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ৪০-৫০ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে আরও ৫ শ্রমিককে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ মোস্তফা (৪২) নামে এক শ্রমিককে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে খনি ভূগর্ভে ২৮৫ জন, সারফেজে সাড়ে ৪০০ জনসহ ১ হাজার ৪১ শ্রমিক নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান খনির আবাসিক গেটে সাংবাদিকদের বলেন, লাগাতার তিন দিন ধরে খনি ভূগর্ভে ও উপরে কর্মরত শ্রমিকরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে এলেও খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কর্ণপাত করছেন না। খনি ভূ-গর্ভে অবস্থানরত ২৮৫ জন শ্রমিক ঘোষণা দিয়েছে স্থায়ী নিয়োগ ছাড়া তারা উপরে উঠে আসবেন না। এতে যদি তাদের মৃত্যুও হয়।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এসএম নুরল আওরঙ্গজেব মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার খনিতে আসবেন। তাদের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
আরএ