৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৫২ টনের প্রথম চালানটি মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়।
প্রাণ চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের থেকে গ্রানুলা, ডায়মন্ড ও অ্যাসটেরিক্স জাতের মানসম্পন্ন আলু সংগ্রহ করে।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার চুক্তিভিত্তিক আলুচাষি আব্দুল মজিদ বলেন, দুই বছর ধরে তিনি প্রাণ এর কাছে আলু সরবরাহ করছেন। গত বছর তিনি তিন একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। চুক্তিভিত্তিক চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার চার একর জমিতে চাষ করেছেন বলেও তিনি জানান।
উন্নতমানের আলু উৎপাদনের লক্ষে প্রাণ কৃষকদের স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের বীজ ও সার সরবরাহ করছে।
কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ায় উন্নতমানের আলু উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া কৃষকরা ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়ায় চুক্তিভিত্তিক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলেও জানান প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, গত বছর আমরা সীমিত আকারে আলু রপ্তানি শুরু করি। আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়ায় এই বছর আমাদের ব্যাপক পরিমাণে আলু রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়া ছাড়াও এই বছরে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, জাপান ও শ্রীলংকায় আলু রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের উৎপাদিত আলু রপ্তানির পাশাপাশি চিপস ও স্টার্চ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলেও জানান কামরুজ্জামান। প্রাণ ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আলু রপ্তানি করে।
সোমবার (ফেব্রুয়ারি ১৩) প্রাণের মিডিয়া ম্যানেজার কে এম জিয়াউল হক এর পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
আরআই